chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী ফারুক হত্যায় নারীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামে ওমর ফারুক বাপ্পী নামে এক তরুণ আইনজীবীকে খুনের মামলায় এক নারীসহ দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত আরও তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

বুধবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় তিন আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও পলাতক রয়েছেন আরও দুইজন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন হলেন- রাশেদা বেগম ও হুমায়ুন রশিদ। এদের মধ্যে রাশেদার বাড়ি কক্সবাজার জেলায় ও হুমায়ুন চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় থাকতেন। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া তিনজন হলেন- আল আমিন, আকবর হোসেন ও পারভেজ আলী। এরা সবাই নগরীর ইপিজেড এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।

মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুর রশীদ বলেন, তরুণ আইনজীবীকে খুনের মামলায় এক নারীসহ দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আরও তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা এবং একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার কাজ শুরুর আদেশ দেন আদালত। ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয় গত ১২ এপ্রিল। মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার কে বি আমান আলী রোডের একটি বাসা থেকে আইনজীবী ওমর ফারুক বাপ্পীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন তিনি চট্টগ্রাম আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তার বাড়ি বান্দরবানে। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।

অ্যাডভোকেট বাপ্পীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে আদালতে কর্মবিরতি কর্মসূচিও পালন করেছিলেন চট্টগ্রামের আইনজীবীরা। তার এমন মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন সহকর্মীরা। একপর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। সংস্থাটির চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের তৎকালীন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান। তিনি আসামিদের গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে ছয়জনকে আসামি করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর