রেকর্ড ভেঙে যশোরের তাপমাত্রা উঠল ৪৩.৮ ডিগ্রিতে
টানা এক মাস ধরে চলা তাপপ্রবাহের মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড পাল্টা রেকর্ড গড়ছে। ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) যখন চুয়াডাঙ্গা রেকর্ড করল এর অল্প সময় পরই এই রেকর্ড ভেঙেছে পাশের জেলা যশোর। এদিন যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গিয়ে ঠেকেছে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দেশের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, আজ যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
এর আগে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, টানা ২০ দিন ধরে এই জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েক দিন দেশের এবং এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও বেড়ে বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১২ শতাংশ।
এছাড়া মঙ্গলবার খুলনায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, মোংলায় ৪২ ডিগ্রি, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সংস্থাটির তথ্যমতে, বুধবার রাত থেকে কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা। ২ মে থেকে বৃষ্টি ঝরতে পারে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এক ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, দেশে চলমান তাপপ্রবাহ বুধবার রাত থেকে কমতে শুরু করবে। পরদিন দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। সেদিনই কমবে সারাদেশে তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে ১০ মে পর্যন্ত।
শাহিনুল ইসলাম আরও বলেন, ৪ ও ৫ মে সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নামবে। তবে খুলনা-রাজশাহীতে হিটওয়েভ কমতে কিছুটা সময় লাগবে।
- ফখ|চখ