chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হালিশহরে ব্যাচেলর বাসায় গভীর রাতে রুমমেটকে খুন, আসামির মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামে যুবককে ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (০৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজুম মুনীরা এ রায় দিয়েছেন।

দণ্ডিত মো. হোসেনের বাড়ি সন্দ্বীপ উপজেলায়। হত্যাকাণ্ডের পর হোসেন গ্রেফতার হলেও পরে জামিনে গিয়ে পালিয়ে যান বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু জানিয়েছেন।

২০১৭ সালের ১২ মার্চ গভীর রাতে নগরীর হালিশহর আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের একটি বাসায় খুন হন মাকসুদুর রহমান মাকসুদ (২৬) নামে এক যুবক। তার বাড়িও সন্দ্বীপ উপজেলায়।

মামলার নথি পর্যালোচনায় জানা গেছে, মাকসুদ চাকরির খোঁজে চট্টগ্রাম শহরে এসেছিলেন। হালিশহরে একটি ব্যাচেলর বাসায় থেকে দিনমজুরের কাজ করতেন। হোসেনসহ আরও পাঁচজন ওই বাসায় থাকতেন। ২০১৭ সালের ১২ মার্চ বিকেলে রুমমেটরা সবাই বাসার কাছে একটি দোকানে চা খেতে যান। সেখানে মাকসুদ ও হোসেনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মাকসুদ হোসেনকে মারধর করেন।

ঘটনা জানার পর স্থানীয় ‘মুরব্বি’ ফরহাদ দু’জনকে ডেকে মিমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে মাকসুদ হোসেনের কলার ধরে বিষয়টি এলাকার ‘ছোট ভাইদের’ কাউকে না জানানোর জন্য হুঁশিয়ার করে। রাতে মাকসুদ ও হোসেন একই কক্ষে ঘুমিয়েছিলেন। গভীর রাত তিনটার দিকে অপর কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা রুমমেটরা চিৎকার শুনে ওই কক্ষে গিয়ে দেখেন, মাকসুদ রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন। মাকসুদ তাদের বলেন, ‘হোসেন আমাকে ছুরি মেরে পালিয়ে গেছে, আমাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাও।’

আহত মাকসুদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মাকসুদের ভাই মো. রিপন বাদী হয়ে হালিশহর থানায় হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

অতিরিক্ত মহানগর পিপি দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু  জানিয়েছেন, মামলা তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ওই বছরের ৮ নভেম্বর আদালত দণ্ডবিধির ৩৮০, ৩০২ ও ৪১১ ধারায় আসামি হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। অভিযোগপত্রের ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

রায়ে আদালত দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া দণ্ডবিধির ৩৮০ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর