chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শ্রম আইন না মানলে লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা আছে: প্রতিমন্ত্রী

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, শ্রম আইন না মানলে আমরা আদালতে মামলা দায়ের করতে পারি। সেটা বাস্তবায়ন করতে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে পরিদর্শকরা আছেন। তারা পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তারা আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে। কাজেই শ্রম আইন না মানলে লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা আছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয় না, এমনটা বলা যাবে না। আমি আশ্বাস করতে চাই, গেল দুই মাসে আমার মন্ত্রণালয়কে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে। দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছভাবে এই মন্ত্রণালয়কে পরিচালনা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, শ্রম আইনটি শ্রমিকবান্ধব করা হবে। এতে আইএলও কিছু সংযোজন করেছে। তাদের অনুরোধেই আইনটি পাস হওয়ার ক্ষেত্রে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমাদের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। আশা করছি, সংসদের আগামী অধিবেশনে অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনেই এটি পাস হয়ে যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ঈদের আগে আমরা একটি সভা করেছিলাম ত্রিপক্ষীয়। সেখানে সমস্যা চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বছরই শ্রম খাতে প্রথম ঈদের আগে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে। এর আগে সড়ক অবরোধ করা হতো, বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা হতো। আগে শ্রমিক-মালিক বৈরী সম্পর্ক ছিল। এবার আমরা আলোচনা করে সেটা সমাধান করেছি।

তিনি বলেন, এবার প্রথম শ্রম সেক্টরে ঈদের আগে অন্যান্য বছর যেভাবে অরাজকতা হতো, সড়ক অবরোধ করতো সেটা হয়নি। আগে মালিক-শ্রমিক একটা বৈরি সম্পর্ক ছিল। আমরা এখানে কনফারেন্স রুমে বসে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যাগুলো টেবিলেই সমাধান করেছি। ছুটির আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে। সরকারের কাছে পাওনা প্রণোদনা মালিকপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে যথাযথ সময়ে শ্রমিকদের পাওনা দেওয়া হয়েছে। সে কারণে এবার আনন্দঘন পরিবেশে শ্রমিকরা ঈদ উদযাপন করেছে। মালিকদের সমস্যা ছিল, সরকারের কাছে কিছু ইনসেনটিভ পাওনা ছিল, সেগুলো আমাদের প্রচেষ্টায় তাদের পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। যার কারণে শ্রমিকদের পাওনা যথাযথ সময়ে দেওয়ার কারণে এবার শ্রমিকরা সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করেছে।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক খাত থেকে বেশির ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আসে। তারা যখন বিদেশি অর্ডার বাস্তবায়ন কিংবা রপ্তানি তাড়াতাড়ি করাতে শ্রমিকদের ওভারটাইম করান। এ জন্য তাদের পাওনা দেওয়া হয়। শ্রমিকরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এটা পারস্পরিক বিষয়, সমঝোতার ভিত্তিতে করা হয়। আবার অনানুষ্ঠানিক খাতে এগুলো হয়। যেমন দোকানে আটঘণ্টার বেশি শ্রম দিতে হচ্ছে। এসব বিষয় নিরসনে আমরা কাজ করছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে বিধান অনেক শিথিল করা হয়েছে। অনলাইন ও অফলাইনে ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন আমরা দিচ্ছি। সেক্ষেত্রে তাদের বাধাগুলো শিথিল করে তারা যাতে সহজে ট্রেড ইউনিয়ন পেতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরো বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে একজন কাজের ছেলে রেখেছেন বা একজন মেয়ে রেখেছেন। গরিব ঘরের সন্তানকে গ্যারেজে কাজ শেখানোর জন্য দিয়েছেন, পরে সে হয়তো পরিবারের হাল ধরবেন। এ রকম অনেক বিষয় আছে। এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ নিলেও অনেক সময় বন্ধ করা সম্ভব হয় না। প্রতিষ্ঠানিক কল-কারখানায় কোনো শিশু শ্রম নেই।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর