chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘ভবঘুরে’ বলায় জোর আপত্তি রানা দাসগুপ্তের

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজে সনাক্ত যুবককে ‘ভবঘুরে’ বলায় জোর আপত্তি জানালেন হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাসগুপ্ত।

তিনি বলেন, এসব ঘটনার পর যাদের ধরা হয় তাদের কখনও ভবঘুরে কিংবা পাগল বলা হয়। ভবঘুরে হলে পবিত্র কোরআন শরীফ কীভাবে চিনলো?

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রানা দাস গুপ্তের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় যান সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাদের মধ্যে একান্ত বৈঠক চলে। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে ছুটে যান। সেখানে সাংবাদিকদের বক্তব্যের সময় তিনি এ আপত্তির বিষয়টি তুলে ধরেন।

কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ের দর্পন সংঘের পূজামণ্ডপে একটি হনুমানের মূর্তির ওপর কোরআন শরীফ পাওয়া যায়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কক্সবাজার, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি, পূজামণ্ডপ, দোকানপাটে হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়।

গত শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জেমসেন হল পূজামণ্ডপেও একদল যুবক হামলার চালানোর চেষ্টা করে। এর প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেঠে পড়েন সনাতন ধর্মালম্বীরা। প্রতিমা নিরঞ্জন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরের দিন আধা বেলা হরতাল পালন করা হয়।

গতকাল বুধবার (২০ অক্টোবর) কুমিল্লার ওই ঘটনায় এক যু্বকের কোরআন শরীফ রেখে আসার ভিডিও প্রকাশিত হয়। ওই যুবক ইকবাল হোসেনকে কয়েকটি গণমাধ্যমে ভরঘুরে বলে জানানো হয়। নওফেল ও রানা দাসগুপ্তের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
ঘটনাটিকে পরিকল্পিত দাবি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনালের এই প্রসিকিউটর বলেন, এটি কোনো ভবঘুরের কাজ হতে পারে না। এর পেছনে চক্রান্তকারীর হাত রয়েছে। এটি খুঁজে বের করা সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

আরকে/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর