chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য ক্ষেত্র জাতির পিতার বাংলাদেশ : চবি উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সনাতন ধর্ম পরিষদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে বাণী অর্চনা উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সচিব মো. রবিউল হাসান।

এসময় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, সকল ধর্মের মানুষের পারষ্পরিক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির মাধ্যমে বসবাসের অনন্য ক্ষেত্র জাতির পিতার বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এ মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে সকল ধর্মের মানুষ তাদের স্ব স্ব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অত্যন্ত উৎসব মূখর পরিবেশে পালন করে আসছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সকল ধর্মের মানুষ অত্যন্ত  সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন অব্যাহত রেখেছে। ধর্মীয় সম্প্রীতির এই অটুট মেলবন্ধন কোন অপশক্তি যাতে নস্যাত করতে না পারে সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য উপাচার্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

সনাতন ধর্ম পরিষদ, চবি’র সভাপতি প্রফেসর ড. তাপসী ঘোষ রায়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি রসায়ন বিভাগের প্রফেসর বেনু কুমার দে, হাটহাজারী রুদ্র সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ বাবু মিলন দেবনাথ, অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড. মাখন চন্দ্র রায়, সদস্য-সচিব প্রকৃতি সাহা, চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক  ইকবাল হোসেন টিপু প্রমুখ।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, প্রফেসর ড. দ্বৈপায়ন সিকদার, প্রফেসর ড. অলক পাল, প্রফেসর নির্মল কুমার সাহা, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, বাণী অর্চনা উদযাপন কমিটির কোষাধ্যক্ষ রুনা সাহা, চবি প্রধান প্রকৌশলী, নিরাপত্তা প্রধান এবং সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দিনব্যাপি কর্মসূচির মধ্যে ছিল-সম্মাননা স্মারক প্রদান, ভজন কীর্তন, শাঁখ-ঢাক-ধুনুচিনৃত্য, প্রসাদ বিতরণ ও সন্ধ্যায় আরতি পূজা।

এসএএস/নচ

এই বিভাগের আরও খবর