chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

৪০ হাজার টাকায় ভাড়াটে খুনি, গ্রেফতার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাত্র ৪০ হাজার টাকার লোভ সামলাতে না পেরে খুনের মত জঘন্য ঘটনা ঘটিয়ে রক্ষা পায়নি অভিযুক্ত আসামিরা। শেষমেশ পুলিশের হাতে দু’জনকে ধরা পড়তে হলো।

গত ২৮ নভেম্বর বন্দর থানার আনন্দবাজার সাগর পাড় থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয়ের শনাক্তের পাশাপাশি ২ জনকে গ্রেফতার করার পর এমন তথ্য জানায় পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম- মো. ইব্রাহিম খলিল (৩৫)। তিনি নোয়াখালীর চরজব্বার থানার মোহাম্মদপুর গ্রামের ওয়াজউদ্দৌলার ছেলে।
অন্যদিকে এই ঘটনার জড়িত থাকায় গ্রেফতার ২ জন হলেন- শামীম ও সোহাগ। তারা উভয়েই নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার বাসিন্দা। চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় তারা দিনমজুরের কাজ করতো।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২ বছর আগে ইব্রাহিমের সাথে রোজিনার (ছদ্মনাম) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রোজিনা এবং ইব্রাহিম উভয়েরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিলো। রোজিনার প্রথম স্বামী মারা গেলে ৭ বছর তিনি অবিবাহিত থাকেন।

দীর্ঘ এই সময়ে তিনি আজাহার নামের একজনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। এবং আজহারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। কিন্তু আজহার বিবাহিত হওয়ায় এবং তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে না পারায় রোজিনা তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইব্রাহিমকে বিয়ে করেন। এই বিয়েই কাল হয়ে দাঁড়ায় ইব্রাহিমের জীবনে।

বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে রোজিনার প্রাক্তন প্রেমিক আজাহার তার পথের কাঁটা ইব্রাহিমকে খুন করার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আজাহার তার খালাতো ভাই সোহাগকে বিষয়টি জানায় এবং ইব্রাহিমকে খুন করতে পারলে ৪০ হাজার টাকা দিবে বলে প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে সোহাগ রাজী হয়ে তার আরেক সহকর্মী শামীমকে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত করে।

ঘটনার দিন দুপুরে সোহাগ ইব্রাহিমকে মাছ কিনতে যাওয়ার কথা বলে আনন্দবাজার সাগর পাড়ে ডেকে আনে। আগে থেকে সোহাগ ও শামীম সেখানে ছুরি নিয়ে অপেক্ষা করে। পরে ইব্রাহিমকে মাছ ধরার নৌকায় তুলে সোহাগের ইশারায় শামীম ইব্রাহিমের গলায় ছুরি চালিয়ে মরদেহ সাগর পাড়ে ফেলে যায়।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন চট্টলার খবরকে বলেন, এটি সম্পূর্ণ ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ড ছিলো।

পিবিআইয়ের সহায়তা ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলিয়ে আমরা ইব্রাহিমের পরিচয় শনাক্ত করি। পরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তার পরিবার পর্যন্ত পৌঁছাই। ইব্রাহিমের ছেলে ও তার স্ত্রী এসে মরদেহ শনাক্ত করে। মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে আমরা দুই আসামিকে গ্রেফতার করি। ইতোমধ্যে আসামির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

কামরুল/এএমএস

এই বিভাগের আরও খবর