chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ভারতে ছড়াচ্ছে ভয়ংকর ভাইরাস

ভারতে বিষফোঁড়ার মতো ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া-রেসপিরেটারি ভাইরাস। গত ২মাস ধরে ডেঙ্গু বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যে। এসবের মধ্যেই আরও এক সংক্রামক ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

২০২২ সালে ১ লাখ গরুর মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল এই ভাইরাস। এর নাম লাম্পি ভাইরাস। কর্ণাটক, গুজরাট, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

গবাদি পশুদের মধ্যে একধরনের চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে এই ভাইরাসের সংক্রমণে। এই ধরনের অসুখকে বলা হয় লাম্পি স্কিন ডিজিজ।

সূত্রের খবর, লাম্পি চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে চার হাজারেরও বেশি গরুর মৃত্যু ঘটেছে রাজস্থানে। এখনও পর্যন্ত এই রোগে সংক্রমিত হয়েছে প্রায় ৯৪ হাজার গবাদি পশু। প্রায় ৭০ হাজার গরুর চিকিৎসা চলছে। গুজরাট, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এই ভাইরাসের আঁতুরঘর।

১৯৩১ সালে জাম্বিয়ায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম দেখা গিয়েছিল। ইউরোপে এক সময় মহামারির মতো ছড়িয়েছিল লাম্পি ভাইরাস স্কিন ডিজিজ। এই ভাইরাস ক্যাপ্রিপক্সভাইরাস গোত্রের। গরু, মহিষ ইত্যাদি প্রাণীদের শরীরে ছড়ায়। দূষিত পানি, খাবার, এমনকী মশা, মাছিসহ অনান্য পোকার মাধ্যমেও এই ভাইরাস গবাদি পশুর শরীরে ঢুকতে পারে। তারপর রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত দেহকোষে। খুব দ্রুত ভাইরাস বিভাজিত হয়ে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে দাবি গবেষকদের। তবে গবাদি পশুর থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।

কী কী উপসর্গ দেখা দেয়?

গরুর সারা শরীরে বড় বড় ফোস্কা পড়ে। ঘাড়ে, গলায়, পেছনের পায়ে, চোখে, লেজে, মুখে ফোস্কার মতো দেখা দেয়। শরীরের ভেতরেও এমন হতে পারে। সেক্ষেত্রে শ্বাসনালি ও খাদ্যনালির ভেতরের দেওয়ালে ফোঁড়ার মতো হয়।

এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে গরুর দুধ দেওয়া প্রায় বন্ধ হতে থাকে, ওজন কমতে থাকে। কঙ্কালসার চেহারা হয়ে যায়। নাক, চোখ দিয়ে অনবরত জল বেরোতে থাকে। পশু ঝিমিয়ে পড়তে শুরু করে।

লাম্পি স্কিন রোগের এখন পর্যন্ত কোনও চিকিৎসা বা প্রতিষেধক নেই। আক্রান্ত পশুকে ঘন ঘন স্যালাইন খাওয়াতে হবে। শরীরে জ্বর বেড়ে গেলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। তবে এগুলো কোনওটিই ভাইরাস রোগের চিকিৎসা নয়।

গত বছর ব্রুসেলা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। অনেকটা করোনার মতোই উপসর্গ দেখা দেয়। হাল্কা জ্বর, গা-হাত পায়ে ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, মাথা যন্ত্রণা, ওজন ও খিদে কমে যাওয়া ইত্যাদি। এই রোগকে মাল্টা ফিভার বা মেডিটেরানিয়ান ফিভারও বলা হয়। ব্রুসেলার সংক্রমণ দেখা যায় এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায়-সহ একাধিক জায়গায়।

 

তাসু | চখ

এই বিভাগের আরও খবর