chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সবার মতামতের ভিত্তিতেই গণমাধ্যমকর্মী আইন করা হবে: আইনমন্ত্রী    

গণমাধ্যমকর্মী আইনের যেসব জায়গায় সাংবাদিকদের আপত্তি রয়েছে, সেগুলো সংশোধন করে সবার মতামতের ভিত্তিতেই একটি গ্রহণযোগ্য আইন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিউটিটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারে (বিজেসি) আয়োজিত ‘সম্প্রচার সাংবাদিকতা সুরক্ষা প্রতিবেদন-২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম সেক্টর এখন যথেষ্ট পরিপক্ব। তাই এখানে আইন, রেগুলেটরি বডি করার সময় এসেছে। সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় আইন করার পক্ষে আমি। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সব ভালো-মন্দ দেখে গ্রহণযোগ্য একটা গণমাধ্যমকর্মী আইন যেন সংসদে পাস করতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

আনিসুল হক বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর গণমাধ্যমকর্মী আইনটি এখন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আছে। যেহেতু এ আইনের বেশকিছু ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহল আপত্তি তুলেছেন, তাই এগুলো নিয়ে তথ্য ওই স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সাংবাদিক নেতা ও মালিক পক্ষকে নিয়ে সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য আইন করা হবে। এই আইন যেহেতু তথ্য মন্ত্রণালয় করেছে, তারপরও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সবার মতামত নিয়ে যেন আইনটি হয়, সেটি করবো।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে আপনাদের মধ্যে থেকেই নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক উঠেছিল। সেগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হচ্ছে। যেসব সমস্যা ছিল সেগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিজেসির পক্ষ থেকে দেশের ২৩টি টেলিভিশন চ্যানেলের কর্মীদের মৌলিক প্রাপ্যতা ও সুরক্ষা নিয়ে একটি জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়।

জরিপের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, মাত্র ৮ শতাংশ স্টেশনে মাসের ১০ তারিখে নিয়মিত বেতন হয়। আর উৎসব ভাতা পায় ৫০ শতাংশে। ১৩টি স্টেশন কোনো নোটিশ ছাড়াই কর্মী ছাঁটাই করে। ১৮টি টেলিভিশন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হলে ব্যয় বহন করে না। ১১ ভাগ টেলিভিশনে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি দেওয়া হয় না। অর্জিত ছুটি দেয় না বেশির ভাগ টেলিভিশন।

বিজেসি চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এজেডএম শফিউল আলম ভূঁইয়া, বিজেসির সদস্যসচিব শাকিল আহমেদ, বিজেসির ট্রাস্টি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও নুর সাফা জুলহাস, প্রয়াত সাংবাদিক শাহ আলমগীরের সহধর্মিনী ফৌজিয়া বেগম মায়া প্রমুখ।

 

সাআ / চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর