chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কর্ণফুলীর জুলধা-ডাঙ্গারচর সড়কের বেহাল দশা, জনভোগান্তিতে এলাকাবাসী

ধূলোয় যন্ত্রণায় জর্জরিত পথচারী

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা-ডাঙ্গারচর সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ-খোয়া উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দ হয়ে সড়কের বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। জনভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী।

এমনই চিত্র দেখা গেছে প্রায় আট কিলোমিটার পর্যন্ত সড়ক জুড়ে এলাকাটি ধূলোর রাজ্যর পরিণত হয়েছে। এখানে নিশ্বাস নেওয়াটা যেন দায়। ফলে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় আট কিলোমিটার সড়কটি কর্ণফুলী উপজেলার শাহমীরপুর মাজার গেটের খাদ্য ফ্যাক্টরি থেকে জুলধা পাইপের গোড়া এবং পাইপের গোড়া থেকে ডাঙ্গারচর পর্যন্ত। পুরো আট কিলোমিটার সড়কটি প্রায় বছর ধরে এমন বেহাল দশা।

সরজমিনে আরও দেখা গেছে, সংস্কারের অভাবে সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। গর্তের অনেক জায়গায় পানি জমে আছে। আবার অনেক জায়গায় গাড়ি চলার সময় আশপাশ ধুলাময় হয়ে যাচ্ছে।

স্হানীয়রা জানান, সড়কের এই ধূলোবালির কারনে হুমকিতে পড়েছ জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা।
সড়কের এই ধূলোর যন্ত্রণায় কাহিল কর্ণফুলীর জুলধা- ডাঙ্গারচর বাসিন্দারা। ধূলোবালিতে দূষিত হচ্ছে প্রাকৃতিক বাতাস। বিষাক্ত হয়ে উঠছে এই এলাকার বাতাস। বাড়ছে অসহনীয় যন্ত্রণা আর ভোগান্তি। সঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। একটুখানি বৃষ্টিতে কাদা আর রোদে ধূলোয় রাজ্য পরিনত হয়।

কথা হয় জুলধা পাইপের গোড়া এলাকার বাসিন্দা আলমগীর সঙ্গে তিনি বলেন, রাস্তাটির বেহাল দশা, কয়েক বছর ধরে। আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছি। রাস্তাটি সংস্কার হলে আমাদের ভোগান্তি কমে আসবে।

কর্ণফুলীর জুলধা-ডাঙ্গারচর সড়কের বেহাল দশা, জনভোগান্তিতে এলাকাবাসী

এ সড়কের আশপাশে রয়েছে বিভিন্ন কল কারখানা, স্কুল, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও সড়কের দু, পাশে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত – খামার, রাস্তার ধুলোবালির জন্য নষ্ট হচ্ছে এসব চাষাবাদ। রাস্তার দুই পাশের গাছে পাতা যেন ধুলোয় লাল বর্ণের হয়ে গেছে।

সড়কের বেহাল দশা তুলে ধরে স্থানীয় সিএনজি চালক সেকান্দর বলেন, এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। তারপরও পেটের দায়ে গাড়ি চালায়।

মোঃ মন্নান নামের এক পথচারী জানান, রাস্তায় এখানে এতো ধূলার পরিমাণ বেড়েছে যে রাস্তা হাঁটার সময় রাস্তাঘাট অন্ধকার দেখি, মাস্ক পরে চলতেও কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় দোকানদাররা বলেন, ধূলাবালির কারণে দোকান চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে,ধূলাবালির কারনে পর্দা দিয়ে খাবার ঢেকে রেখে কোন রকম দোকান চালাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি জুলধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক তিনি বলেন, এই রাস্তা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এইখানে বড় বড় নেতারা রয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো: জাহেদুল আলম মুঠোফোনে বলেন, সড়কটির পাঁচ কিলোমিটার টেন্ডার হয়েছে আগামী সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু হবে।

স্থানীয়দের দাবি সড়কটি সংস্কার হয়ে এলাকার জনসাধারণ এ বেহাল দশা থেকে মুক্তি পাক।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর