chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে লাল সবুজের পতাকা বিক্রির ধুম

বিজয়ের মাস চলছে। মাত্র ৩ দিন পর আসছে ১৬ ডিসেম্বর বা মহান বিজয় দিবস। এই দিবসটিকে কেন্দ্র করে পতাকা বিক্রেতাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। নগরের গলিতে গলিতে একটি লম্বা বাঁশে সারি সারি পতাকা বেঁধে ঘুরছেন তারা। তবে গত বছরেরর তুলনায় প্রায় দ্বিগুন দাম বাড়ায় এখনো ক্রেতাদের ভীড় বাড়েনি।

ডিসেম্বর মাস একটি বিজয়ের মাস। ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, ২ লাখ মা-বোনোর সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই বিজয়। একই সাথে একটি মানচিত্র, লাল সবুজের একটি পতাকা অর্জন হয়েছে। বিজয় বাঙ্গালী জাতির একটি অহংকারের মাস। ডিসেম্বর মাস আসলেই সকলের মধ্যে এক ধরনের উন্মাদনার স্মৃষ্টি হয়। বিজয়ের মাস এলেই গ্রাম হাটবাজারে দেখা মেলে পতাকা বিক্রেতাদের। নানা আকারের পতাকা এবং লোগো সংবলিত মাথায়, হাতে বাঁধার ব্যান্ড। দেশ প্রেমে বিবেককে জাগ্রত করে ছুটে যান শিশু-কিশোর ও কিশোরীসহ নানা বয়সের মানুষ। সেই পতাকা অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়িতে সোভা পায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগান পতাকা বিক্রেতারা। সারা বছর তারা এই পেশায় থাকেন না। শুধু ১৬ ডিসেম্বর এবং ২১ ফেব্রয়ারি এলেই তারা এই পেশায় জড়িয়ে পড়েন।

তেমনই এক বিক্রেতা ইয়াসিন মামুন। নগরের একটি স্কুলে ৯ম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলে যেতে হয় না। তাই গত ৩ দিন ধরে পতাকা বিক্রি করতে নেমেছেন।

গতকাল (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে তার সাথে প্রতিবেদকের কথা হয়। প্রতিবেদককে ইয়াসিন জানান,আমি গত ৩ বছর ধরে এই ব্যবসা করি। ডিসেম্বর আসলে বিক্রি করি। সকালে ক্লাস শেষ করে বিকালে পতাকা বিক্রি করতে নেমে পড়ি।

জামালখান, আন্দরকিল্লা, নিউমার্কেট, চকবাজার এসব জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি। তবে এখনো বেচাকেনা তেমন হচ্ছে না। একটি বড় পতাকা বিক্রি করে ৩০-৪০ টাকা, ছোটগুলো ৪-২০ টাকা  লাভ হয়। আসলে কাপড়ের দাম বাড়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

নগরের জামালখান, কাজীর দেউরী,  চকবাজার , আন্দরকিল্লা ঘুরে দেখা যায়-১০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকাও পতাকা বিক্রি হচ্ছে। মূলত সাইজ অনুযায়ী এগুলো বিক্রি নির্ধারণ হয়। বর্তমানে ছোট পতাকা ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে যা আগে ৫ টাকা, ১০ ফুটের পতাকা ৫০০ টাকা যা আগে ৩০০ টাকা, ৬ ফুটের পতাকা ৩০০- ৩৫০ টাকা যা আগে ২০০-২৫০ বিক্রি হতো। ১৫- ২০ ফুটের পতাকা বিক্রি হয়। তবে তা অর্ডার আাগে দিতে হয়। ছোট পতাকা গুলো সাধারণত গাড়িতে বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ছোট বাচ্চারা ব্যবহার করে। যার কারণে সেগুলোই বেশি কেনা হয়।

পতাকা কারিগরদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। তবে অনেকে সেলাই করে রেখেছেন আগেই। তেমনি একজন নিউমার্কেটের আবু খলিফা। তিনি বলেন, এবার পতাকা বিক্রি একদমই নেই। শেষ ২০২১ সালে বেশি পতাকা বিক্রি হয়।  কারণ সেসময় সুবর্ণ জয়ন্তি ছিলো। গতবছর বিশ্বকাপ ছিল তাই কম বিক্রি হয়। কিন্ত এবার তাও কম বিক্রি হচ্ছে। আমি প্রায় ৫ হাজার পতাকা সেলাই করে রেখেছি। কিন্ত এখন পর্যন্ত মাত্র ২ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। আমি পাইকারী ১ ফুটের পতাকা পিস ১০ টাকা, দেড় ফুটের পতাকা পিস ১৮ টাকা, আড়াই ফুট ৩৫ টাকা, সাড়ে ৩ ফুট ৪৫ টাকা পিস বিক্রি করি। তবে দুয়েক পিস বিক্রি করি না। তখন দাম বেশি দিতে হয়। পাইকারি কমপক্ষে ১০০ টা নিলেই তবে বিক্রি করি।

তাসু/ফখ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর