chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

লামায় ৭৫ পরিবারকে ঘর নির্মাণ ১৮শত পরিবারকে নগদ অর্থ দিল ‘ব্র্যাক’

বান্দরবানের লামা উপজেলায় সম্প্রতি সময়ে স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ঘুরে দাঁড়াতে সিএফএফইআর প্রজেক্টের মাধ্যমে সহায়তা দিয়েছে দেশীয় এনজিও ব্র্যাক। সহায়তার অংশ হিসাবে ৭৫ পরিবারকে ঘর নির্মাণে সরঞ্জাম সহ নগদ অর্থ এবং ১ হাজার ৮০০ পরিবারকে নগদ ৫ হাজার ৫০০ টাকা করে দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্র্যাকের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচীর আওতায় ব্র্যাক ইউকে (The Askehave Climate Foundation) এর অর্থায়নে “চট্টগ্রাম ফ্লাস ফ্লাডস ইমার্জেন্সি রেসপন্স প্রজেক্ট” এর প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নবাগত লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তনু কুমার দাশ।

ব্র্যাকের সিনিয়র প্রকল্প ম্যানাজার মোঃ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, মিলকী রাণী দাশ, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক মোঃ আরিফ হোসেন, প্রকল্প ম্যানাজার মোঃ মাহাবুব উল আলম, ব্র্যাক লামা উপজেলা ম্যানাজার মোঃ শাহীন ইসলাম, লামা উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ নজরুল ইসলাম বুলবুল সহ প্রমূখ। ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক মোঃ আরিফ হোসেন এর সঞ্চালনায় সমাপনী কর্মশালায় প্রকল্পের বাস্তবায়নের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, প্রকল্প ম্যানাজার মোঃ মাহাবুব উল আলম।

নবাগত লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তনু কুমার দাশ বলেন, বন্যা পরবর্তী তিন মাসের ‘চট্টগ্রাম ফ্লাস ফ্লাডস ইমার্জেন্সি রেসপন্স প্রজেক্টের’ (সিএফএফইআর) মাধ্যমে লামা উপজেলার ৭৫ পরিবার ঘর এবং ১৮শত পরিবার নগদ অর্থ পেয়েছে। এইটি একটি চমৎকার কাজ। আগামীতে এনজিও ব্র্যাক এইভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে তা কামনা করছি। একইসময় বক্তব্য রাখাকালে লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম ব্র্যাকের মানবকল্যাণমূখী কাজের জন্য ধন্যবাদ দেন। অনুষ্ঠানে ঘর, টয়লেট এবং নগদ অর্থ পাওয়া সুবিধাভোগীদের মধ্যে তিনজন বক্তব্য রাখেন। তারা ব্র্যাকের সিএফএফইআর প্রকল্পের প্রশংসা করেন এবং সামনে এমন জনকল্যাণ প্রকল্প নিয়ে আসতে অনুরোধ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে ব্র্যাকের সিনিয়র প্রকল্প ম্যানাজার মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম সমূহ হল- ২০২৩ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারের খাদ্য যোগান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অর্থ সহায়তা, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারের বসত ঘর মেরামতের উপকরণ প্রদান এবং ঘর মেরামতের মজুরী বাবদ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান। যা আমরা করেছি। প্রকল্পের মেয়াদ: ৩ মাস (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩)। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের প্রকল্পের কাজ শেষ করেছি। লামা উপজেলার আপাময় জনসাধারণ আমাদের পাশে ছিল। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। প্রজেক্টের সহায়তার অংশ হিসাবে ৭৫ পরিবারকে ঘর নির্মাণে সরঞ্জাম সহ নগদ অর্থ এবং ১ হাজার ৮শত পরিবারকে নগদ ৫ হাজার ৫শত টাকা করে দেয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর