প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নবনির্মিত ঘরসহ জমি ২৬৭ পরিবারে হস্তান্তর
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, চন্দনাইশ ও বাঁশখালী উপজেলায় একক নবনির্মিত ঘরসহ জমির মালিকানা হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ৪র্থ পর্যায়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৮৬টি, ৫ম পর্যায়ে চন্দনাইশে ৩৫টি, বাঁশখালীতে ৪৬টি ও চন্দনাইশ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণ ১০০টি পরিবারসহ মোট ২৬৭টি পরিবারকে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
“মুজিবশতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১ম পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিগত ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি তারিখে সারাদেশে মোট ৬৩,৯৯৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলায় ১ম পর্যায়ে ১৪৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২য় পর্যায়ে বিগত ২০২১ সালের ২০ জুন তারিখ সারাদেশে মোট ৫৩,৩৩০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। ২য় পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলায় ৬৪৯টি পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে।
১ম ও ২য় পর্যায়ের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩য় পর্যায়ে বিগত ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল তারিখে সারাদেশে মোট ৩২,৯০৪ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম জেলায় ৩য় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ১২১৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিগত ২০২২ সালের ২১ জুলাই তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ৩য় পর্যায়ের ২৬,২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম জেলায় ৩য় পর্যায়ে ৫৮৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার ০৪টি উপজেলা যথাক্রমে-পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলাকে হালনাগাদ যাচাই-বাছাইকৃত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিগত ২০২২ সালের ২১ জুলাই তারিখে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ১ম, ২য় এবং ৩য় পর্যায়ের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৪র্থ পর্যায়ে গত ২২ মার্চ সারাদেশে ৩৯,৩৬৫ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম জেলায় ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ১৫৯টি এবং ৪র্থ পর্যায়ের ৮৯৩টিসহ মোট ১০৫২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়। এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার ০২টি উপজেলা যথাক্রমে-রাউজান ও বোয়ালখালী উপজেলাকে হালনাগাদ যাচাই-বাছাইকৃত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গত ২২ মার্চ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গত ০৯ আগস্ট ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে ২৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয় এবং হাটহাজারী ও আনোয়ারা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষনা করা হয়।
এ পর্যন্ত মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর বরাদ্ধ প্রদানের তালিকাঃ
১ম পর্যায়ে ১৪৪৪টি, ২য় পর্যায়ে ৬৪৯টি, ৩য় পর্যায়ে ১৬২টি, ৪র্থ পর্যায়ে ১১৩৭টি, ৪র্থ পর্যায়ের অবশিষ্ট ৮৬টি, ৫ম পর্যায়ে ৮১টি ও জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণ ১০০টি পরিবারসহ সর্বমোট ৫৪৫৯টি পরিবার।
আগামীকাল ১৪ নভেম্বও ২০২৩ ইংরেজি তারিখে বাঁশখালী, ফটিকছড়ি এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষনা করা হবে। ইতোপুর্বে চট্টগ্রাম জেলায় ৮টি উপজেলা যথাক্রমে-পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, রাউজান, বোয়ালখালী, আনোয়ারা এবং হাটহাজারী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম জেলার সন্ধীপ, সীতাকুন্ড, মীরসরাই এবং চন্দনাইশ উপজেলা ব্যতীত অবশিষ্ট ১১ টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে।
মুন/চখ