chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আলবেনিয়ায় পাঠাবে ইতালি, চুক্তি সই

অবৈধপথে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটা সময় পর্যন্ত আলবেনিয়ায় রাখার ব্যবস্থা করছে ইতালি। এ লক্ষ্যে আলবেনিয়ায় দুটি সাময়িক আশ্রয় শিবির নির্মাণে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও হয়ে গেছে। গত সোমবার (৬ নভেম্বর) ইতালীয় প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

নির্বাচনে জিতে গত বছর প্রধানমন্ত্রী হন মেলোনি। তার দল ব্রাদার্স অব ইটালির সবচেয়ে বড় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল সরকার গঠনের পর দেশটিতে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা। কট্টর ডানপন্থি দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন মেলোনি।

এরপরও ভূমধ্যসাগর দিয়ে অবৈধ পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইতালিতে প্রবেশের চেষ্টা ক্রমাগত বাড়ছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১০ মাসে মোট ৮৮ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী অবৈধভাবে ইতালিতে পৌঁছেছিলেন। চলতি বছর একই সময়ে সেই সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৪৫ হাজার হয়েছে৷

মেলোনি সরকার মনে করে, আলবেনিয়ায় দুটি অস্থায়ী আশ্রয় শিবির গড়ে সাগরপথে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সেখানে রেখে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো সম্ভব। সোমবার রোমে আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামা এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে সাক্ষর করেছেন।

মেলোনি জানান, ‘রিসিপশন সেন্টার’, অর্থাৎ অস্থায়ী আশ্রয় শিবির দুটি নির্মাণ করা হবে আলবেনিয়ার শেংজিন এবং জাদার অঞ্চলে। নির্মাণের সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে ইতালি সরকার। ২০২৪ সালের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ করে প্রাথমিকভাবে সেখানে তিন হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে রাখার পরিকল্পনা করছে সরকার।

তবে পর্যায়ক্রমে ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে এক সময় বছরে ৩৬ হাজারের মতো অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সেখানে রাখা যাবে বলে আশা করছেন ইতালিয় প্রধানমন্ত্রী।

আশ্রয় শিবিরে কারা থাকবেন?

আলবেনিয়ার দুটি আশ্রয় শিবিরে অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং অন্তঃসত্ত্বা নারী ছাড়া বাকি সব ধরনের অভিবাসনপ্রত্যাশীকে রাখা হবে। তবে কাউকেই দীর্ঘদিন রাখা হবে না। অভিবাসনের আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে যাদের আবেদন গৃহীত হবে, তাদের ইতালিতে নিয়ে যাওয়া হবে। আর যাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবে, তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে আলবেনিয়া সরকার। আশ্রয় শিবির পরিচালিত হবে ইতালির আইনে। তবে শিবিরের বাহ্যিক নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবে আলবেনিয়া সরকার।

 

 

জয়/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর