হাসপাতালে স্যালাইন সংকট: সিন্ডিকেটে ৯০ টাকার ডিএনএস স্যালাইন ৫০০ টাকায়!
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে ডাক্তারের পরামশে নিতে হয় ডিএনএস স্যালাইন । হাসপাতাল গুলতে রোগীর সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে স্যালাইনের চাহিদা । আর এই চাহিদাকে পুঁজি করে একদিকে কৃত্রিম সংকট করে দাম বাড়িয়েছে ফার্মেসি ব্যবসায়িরা।
সরকারি হাসপাতালে রোগীদের জন্য বিনামূল্যে স্যালাইন সরবরাহ করা হলেও। বেসরকারি হাসপাতালে বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে হয় ডিএনএস (ডেক্সট্রোজ নরমাল স্যালাইন) স্যালাইন।
ডাক্তারের পরামশে স্লিপ হাতে ফার্মেসিতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরতে দেখা যায় বৃদ্ধ (৬০) রহিম উদ্দীনকে দামে বেশি হওয়ায় কিছু ক্ষন ঠাই দাড়ি রইলেন তিনি।
কাছে এগিয়ে গিয়ে প্রতিবেদক সাথে কথা হয় রহিম উদ্দীনের, কী হয়েছে জিজ্ঞাস করতেই তিনি বলেন মেডিকেল এলাকার অনেক ফার্মেসি ঘুরে স্যালাইন না পেয়ে চকবাজারে আসলাম। পেকেটের গায়ে লেখা ৯৫ টাকার স্যালাইন ৩0০ টাকা করে দুইটা ৬০০ টাকা চাইছে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ফার্মেসির ম্যানেজার শুরুতে তিনিও ফার্মেসিতে স্যালাইন থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন, ‘স্যালাইন আছে, তবে দাম বেড়েছে বলেন।’
নগরের পাঁচলাইশ, চকবাজার ও জিইসি এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে অন্তত ২০টি ফার্মেসির কোনোটিতে ডিএনএস স্যালাইন পাওয়া যায়নি। কয়েক টি দোকানে স্যালাইন থাকলেও কয়েক গুন বেশি দামে কিনতে হছে।এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে ফেলেছে।
এভাবেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দিন দিন হাসপাতালে ভতি হছে অসংখ্যা মানুষ। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির সুযোগ নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য জরুরি ডেক্সট্রোজ নরমাল স্যালাইনের (ডিএনএস) কৃত্রিম সংকট তৈরী করছেন ফার্মেসি মালিক ও ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা।
এদিকে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি ওষুধের বাজার হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান ব্যবসায়ীরা।এসময় অভিযানে ১৫০ লিটার ডিএনএস জব্দ করা হয়।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু রোগী দের জন্য ডিএনএস স্যালাইন সংকট চলছে। বিষয়টি ঔষধ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কেউ অবৈধভাবে মজুত করলে ব্যবস্থা নিবে জেলা প্রশাসন’।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ডিএনএস স্যালাইনের সংকট রয়েছে ‘বাজারে ।স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিব স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি ।ঊৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কথা বলেছি। বাজারে স্যালাইনের সাপ্লাই স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।’
জূঈম/চখ