chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে নিয়মিত অভিযানেও থামছেনা বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি

৮৭ টাকার স্যালাইনের দাম ৩০০!

চট্টগ্রাম  সরকারি হাসপাতালে রোগীদের জন্য বিনামূল্যে ডেঙ্গুর ডিএনএস ও আইভি স্যালাইন সরবরাহ করা হলেও। বেসরকারি হাসপাতালে বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে হয় ডিএনএস (ডেক্সট্রোজ নরমাল স্যালাইন) বা আইভি স্যালাইন।ডেঙ্গুর প্রকোপের কারণে এই স্যালাইনের চাহিদা ব্যাপক।তাই এই সুযোগে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে চড়া দামে বিক্রি করেছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযানেও থামছেনা বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে আবারো ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে জালিয়াতির ধরে ফেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে তিনটি ফার্মেসিকে জরিমানাও করা হয়।

চট্টগ্রাম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ জানান, দোকানিরা নানাভাবে প্রতারণা করছেন। নিয়মিত জরিমানা করেছি।

তিনি আরো বলেন,ক্রেতা সেজে কয়েকজনকে নগরীর ফার্মেসিগুলোতে পাঠায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। চট্টগ্রাম মেডিকেলের সামনে হাতেনাতেই ধরা পড়ে ৮৭ টাকার স্যালাইন ৩০০ টাকায় বিক্রির বিষয়টি। অভিযানে স্টোর থেকে বেরিয়ে আসে বিপুল পরিমাণ স্যালাইন। কারসাজির অভিযোগে দুটি ওষুধের দোকানকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় অপর একটি ফার্মেসিকে করা হয় ১০ হাজার টাকা জরিমানা।

এর আগে গত (৩০ আগস্ট) বিকেলে রোগী সেজে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে ছদ্দোবেশে জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী। ওষুধের দোকানে খোজ করলেও ডেঙ্গুর ডিএনএস স্যালাইন পাওয়া যায়নি।এ সময় চারটি ফার্মেসি থেকে আনুমানিক প্রায় ২ লাখ টাকার অনিবন্ধিত ঔষধ জব্দ করা হয়। এ সময় সাহান মেডিকোকে ২০ হাজার, সবুজ ফার্মেসিকে ১০ হাজার, ইমন মেডিক্যাল হলকে ২০ হাজার এবং পপুলার মেডিসিন কর্নারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ভাণ্ডারী হোটেল এবং আল মঞ্জুর হোটেলকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরির দায়ে ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এসএম সুলতানুল আরেফীন বলেন, ফার্মেসি থেকে অন্য ফার্মেসি ঘুরেও পাওয়া যাচ্ছে না আইভি স্যালাইন। পেলেও গুণতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দাম বলে জানান ক্রেতারা।বাজারে আসলেই ডিএনএস ও আইভি স্যালাইনের সংকটের সুযোগ নিয়ে কিছু ফার্মেসি বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করছে।

তিনি আরো বলেন,আমরা নিয়মিত ভাবে অভিযানেও নিয়ন্ত্রেন করছি । তবে একি অবস্থা ফার্মেসিতে মালিকদের।ভবিষৎতে আরো কঠোর হবে প্রশাসন।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর