chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

লাথি মেরে স্ত্রী-হত্যায় অভিযুক্ত সে আইনজীবী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরীতে যৌতুকের জন্য আঁখি (২১) নামে এক গৃহবধুকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগে অভিযুক্ত আইনজীবী স্বামী আনিসুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে এ আদেশ দেন।

আদালতের প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, আনিসুল ইসলামকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালতে আসামির কোনো রিমান্ড ও জামিন আবেদন করা হয়নি। আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আনিসুল ইসলাম বাঁশখালী থানার উত্তর জলদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। মৃত মাহমুদা খানম আঁখি, নগরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে।

এর আগে রবিবার রাতে মৃত আঁখির ভাই মো. মিজানুর রহমান (২৪) বাদী হয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা ওই মামলায় স্বামী আনিসুল ইসলাম (৩২) ছাড়াও শ্বাশুড়ি ফরিদা আক্তার (৫০) ও নন্বস (স্বামীর বোন) হামিদা বেগমকে (৩৪) আসামী করা হয়েছে।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) চান্দগাঁও থানার ওসি মাইনুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রবিবার রাতে আঁখি নামে এক গৃহবধুকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত গৃহবধুর ভাই মো. মিজানুর রহমান।

মামলায় স্বামী আনিসুল ইসলাম, শ্বাশুড়ি ফরিদা আক্তার ও নন্বস (স্বামীর বোন) হামিদা বেগম ছাড়াও অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

ওই মামলায় নিহতের স্বামী আইনজীবি আনিসুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে রবিবার রাতে নিহত গৃহবধূর ভগ্নিপতি আবুল কালাম জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা আইনজীবি আনিসুল ইসলামের সাথে আঁখির বিয়ে হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে।

বিয়ের পর থেকে শ্যালিকা তার স্বামীর সাথে নগরীর চাঁন্দগাও থানার পাঠানিয়া গোদাে এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। বিয়ের পর থেকেই শ্যালিকা আঁখিকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে শুরু করে স্বামী আনিসুল। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মারধর করত।

গেল ৬ মাস ধরে তার নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। কয়েক দিন আগে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন শ্যালিকা আঁখি। তার পেটে লাথি মারলে পেটের নাড়িভূঁড়ি ছিড়ে যায় আঁখির।

আশংকাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারিরীক অবস্থা জঠিল দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপরাগতা প্রকাশ করলে রবিবার সকালে সার্জিস্কোপ ক্লিনিকে আঁখিকে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আঁঁখির মৃত্যু হয়।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর