chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পাচঁ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি কারাগারে

পাঁচটি চেক প্রতারণার মামলায় পাচঁ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম আত্মসমর্পণ করেছেন।

বুধবার (২৩ আগস্ট) চট্টগ্রামের চতুর্থ মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ রাজিয়া সুলতানার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে খন্দকার লতিফুর রহমান আজিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নগরের পাচঁলাইশ থানার নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকার মৃত খন্দকার মিজানুর রহমানের ছেলে খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশকর আলী সুজন জানান, পাচঁ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন না-মঞ্জুর করে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর মোরশেদ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এরাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম ব্যবসার জন্য টাকা দেন মফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। মফিজুর রহমানকে ব্যবসার টাকা পরিশোধের জন্য খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম বিভিন্ন সময়ে নয়টি চেক দেন। চেকের বিপরীতে টাকার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা । চেকের টাকা পরিশোধ না করায় ২০১৪ সালের বিভিন্ন সময়ে পাচঁটি চেক প্রতারণার মামলা করেন মফিজুর রহমান। ২০২২ সালের ২১ মার্চ চট্টগ্রামের চতুর্থ মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ আদালত ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা ও পাচঁটি মামলায় প্রত্যেক মামলায় এক বছর করে মোট পাচঁ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন। ২০২৩ সালের ১৫ মে রায়ের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপীল করলে আপীল না-মঞ্জুর করে চতুর্থ মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ আদালত রায় বহাল রাখে।

এই বিভাগের আরও খবর