বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হল একটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সচেতনতা দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হল বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস , বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ , বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস , বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস , বিশ্ব এইডস দিবস , বিশ্ব রক্তদাতা দিবস , বিশ্ব চাগাস রোগ দিবস , বিশ্ব রোগী দিবস সহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দ্বারা চিহ্নিত ১১টি সরকারি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য প্রচারের একটি। নিরাপত্তা দিবস , বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ এবং বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস।
আরও পড়ুন
রবিবার (০৭ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত প্রতিপাদ্যের আলোকে দিবসটি উদযাপন করছে বাংলাদেশও। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিতে: কাজ করি একসাথে’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে এ বছর গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সেমিনার আয়োজন, স্যুভেনির প্রকাশ, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদর্শনী, জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কার্যক্রম।
১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ। একই বছরের জুন ও জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন। সেই সঙ্গে গৃহীত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় এই আইন। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে নির্ধারিত হয় দিনটি।
দিবসটি ঘিরে প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এ দিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এ দিবসটি।
মোহভ/চখ