chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বিশ্বজনীন বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক পরিমন্ডল বাঙ্গালির আশ্রয়স্থল

“ব‍্যক্তি মুজিবের মৃত‍্যু হলেও অমরত্ব পেয়েছে তার রাষ্ট্রস্বপ্ন আর আদর্শিক অবস্থান” এমন মন্তব্য করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত খ‍্যাতিমান সমাজ বিজ্ঞানী অধ‍্যাপক ড.অনুপম সেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও শোক দিবসে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে নগরীর চট্টগ্রাম একাডেমি হলে এ আলোচনা সভা  অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টু সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী।

প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।

ড. অনুপম সেন বলেন,“ইতিহাসের নিখাদ সত‍্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙ্গালি কোনো দিন স্বাধীনতার স্বাদ পেতো না। মুক্তির জন‍্য একটা জাতিকে কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় তা বঙ্গবন্ধুই দেখিয়েছেন পুরো বিশ্ববাসীকে। একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন একজন কর্মী তার মেধা প্রজ্ঞা দূরদর্শীতা দেশপ্রেম ও অদম্য সাহসে পরিণত হন বাঙ্গালির অবিসংবাদিত নেতায়। সমকালীন বিশ্ব রাজনীতিতে তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক ও অদ্বিতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত ধ্বংসযজ্ঞের উপর দাড়িয়ে নানান দেশী বিদেশী চক্রান্তের মধ‍্যেও নিঃস্ব একটা দেশকে পূনঃর্গঠন করে মাথা উঁচু করে দাড়ানোর প্রাক্কালে পৃথিবীর নির্মম নৃশংসতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত‍্যা করে দেশকে খুনী চক্র বিদেশী প্রভুদের মদদে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অপশক্তির হাতে তুলে দেয়।”

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আন্তর্জাতিক চক্রের প্রত‍্যক্ষ মদদেই একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই জাতিকে নেতৃত্ব শূন‍্য করতে এই পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ‘৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত‍্যাকান্ডের পর বাঙ্গালির রক্তস্নাত  গৌরবময় ইতিহাস বিকৃতির কম অপচেষ্টা হয়নি; বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে ফেলতে। কিন্ত কালের পরিক্রমায় দেশ ও মানবপ্রেমের এই বিশ্বজনীন প্রতিভূপুরুষ চিরস্থায়ী আসন পেতেছে বাঙ্গালি মননে।

বেদারুল আলম বেদার বলেন, “বিশ্বের দরবারে  বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ করে। জননেত্রী সরকারের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমেরিকা বাংলাদেশকে ঈগলের চোখে দেখে।”

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পবিবারের সকল সদস্য নির্মমভাবে হত্যায় আমেরিকা পরোক্ষভাবে জড়িত। মুক্তিযুদ্ধে আমেরিকা বাংলাদেশ বিরোধী ছিল। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়ে  ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তাদের নীলনকশা বাস্তবায়ন করে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.সরফরাজ খান চৌধুরী। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, জেলার সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট ইফতেখার রাসেল,  আবদুল মালেক খান, এডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, মঈনুল আলম খান, এডভোকেট কামরুল আযম।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, কোহিনুর আকতার, নুরুল হুদা চৌধুরী, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, পংকজ রায়, শফিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার এস. বি চক্রবর্তী, ইয়াছির আরাফাত, কামাল উদ্দিন, রাজীব চন্দ, ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব মুন্না, দীপন দাশ, মাহি আল জিসা, জোনায়েদ জিকু, নাসির আলী পান্না, ইসমাঈল হোসেন শুভ, ডাঃ শওকত ইমরান, খোরশেদ আলম, ডাঃ মনিরুল ইসলাম, আবদুর রহিম, এডভোকেট আবছারুল হক, আশফাক আহমেদ, হাছান মুরাদ, সুমন দাশ, সোনিয়া চৌধুরী প্রমূখ।

 

এই বিভাগের আরও খবর