chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

উত্তাপ ছড়াচ্ছে মসলার দামে সক্রিয় ভেজাল চক্র

রাসায়নিক রঙে মসলা তৈরির দায়ে এক জনের বিরুদ্ধে মামলা

কোরবানির ঈদকে রেখে সামনে বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম। সারা বছর চাহিদা থাকলেও কোরবানির ঈদে মসলার চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণ। আদা, রসুন, দারুচিনি, লবঙ্গ, দারুচিনি, তেজপাতা সহ বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম।

খবর নিয়ে জানা যায় খাতুনগঞ্জের আজকে মরিচের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা, দারুচিনি ১২০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকা ও চায়নিজ আদা ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে এক মাস আগেই জিরার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা এবং লবঙ্গের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে প্রতি কেজিতে। দারুচিনি, তেজপাতা ও ধনিয়ার দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

খাতুনগঞ্জের ইলিয়াছ মার্কেট ও জাফর মার্কেট মসলা বাজারের জন্য প্রসিদ্ধ। এদুই মার্কেটে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের মতো মসলা আমদানিকারক রয়েছেন। যাদের মাধ্যমে মসলার ৯০ শতাংশই আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত মাসের শুরু থেকেই পাইকারি বাজারে বাড়তে শুরু করেছে মসলার দাম। প্রায় প্রতি বছরই কোরবানির ঈদের আগে এভাবে দাম বেড়ে যায়। চট্টগ্রামে কোরবানির পশু বেশি জবাই করা হয় বলে দেশের অন্য জেলার চেয়ে চট্টগ্রামে মসলার চাহিদাও বেশি থাকে। অন্যদিকে এবারের পরিস্থিতির জন্য ডলারের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন আমদানিকারকরা।

খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গির আলম বলেন, বাজারে মসলার চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মসলার দাম বেড়েছে। বাজারে সিন্ডিকেট করে ব্যবসা করার সুযোগ নেই।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন চট্টলার খবরকে বলেন, বিভিন্ন উজুহাতে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাম বৃদ্ধি করে। আবার কোরবান উপলক্ষে লবণের দামও বাড়ানোর কারসাজি চলছে। চিনির দামও বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকবে, দায়িত্বশীলদের দায়িত্ববোধ যতদিন জাগবে না।

এদিকে ক্ষতিকর রাসায়নিক রঙে মসলা তৈরির দায়ে ‘তারেক ক্রাসিং মিল’র মালিক মো. মিজানুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে চসিকের খাদ্য নিরাপত্তা পরিদর্শক মো. ইয়াছিনুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নিরাপদ খাদ্য  কর্মকর্তা ফারহানুল ইসলাম চট্টলার খবরকে জানান, কোরবানির ‍ঈদ আসলে মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। এই সুযোগে ভেজাল চক্রটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। বাজারে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর ও ক্ষতিকর রাসায়নিক রঙে মেশানো মসলার পণ্য বাজারে সয়লাব হয়ে পড়ে। এদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতিমধ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক রঙে মসলা তৈরির দায়ে একজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

চখ/এআর

এই বিভাগের আরও খবর