chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নিহতদের ১০ লাখ করে ক্ষতিপূরণ দেবে মালিকপক্ষ

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ:

সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে মালিকপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এর আগে ক্ষতিপূরণ হিসেবে শ্রম আদালতে দুই লাখ টাকা করে জমা দিয়েছিল। জেলা প্রশাসকের চাপে বাকি ৮ লাখ টাকা করে চেক প্রশাসনের কাছে দিয়েছে।

এছাড়া বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে যে দু’জন পা ও চোখ হারিয়েছেন, তাদের ৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আহত অন্যরা চিকিৎসার জন্য দুই লাখ টাকা করে পাবেন।

জেলা প্রশাসনের সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বৈঠক শেষে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ বাড়াতে রাজি হয়েছে মালিকপক্ষ।

এর আগে শ্রম আইন অনুসারে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার রাতে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিহতদের পরিবার প্রতি ‘শ্রম আইন অনুসারে’ দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছিল।

ওই টাকা তারা মঙ্গলবারই শ্রম আদালতে জমা করে দিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক হয়। সেখানে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডকে ক্ষতিপূরণ বাড়াতে চাপ দেওয়া হয়।

সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাৎ হোসেন শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা নিহতদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে শ্রম আদালতে দুই লাখ টাকা করে জমা দিয়েছিল। কিন্তু ডিসি স্যার বলেছেন, নিহতদের পরিবারকে বিএম ডিপোর মত ১০ লাখ টাকা করে দিতে হবে।

‘পরে তারা সম্মত হয়েছে। নিহতদের জন্য বাকি ৮ লাখ টাকা করে চেক আমাদের দিয়ে গেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত সাতজনের মধ্যে চারজনের পরিবারকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১০ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিবারও ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন।

ইউএনও মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আহতরা কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত সবরকম বেতন-ভাতা পাবেন। সুস্থ হওয়ার পর তারা চাইলে কাজে ফিরতে পারবেন। তাদের চাকরির নিশ্চয়তা দিয়েছে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড। এছাড়া নিহতদের পরিবারের কেউ চাকরি করতে চাইলে তাদেরও চাকরি দেওয়া হবে।

এদিকে সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির অনুসন্ধানে নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে সাত সদস্যের কমিটিতে বৃহস্পতিবার একজন কেমিস্টকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুমন বড়ুয়া।

কেমিস্ট যুক্ত হওয়ায় তদন্ত কমিটির সদস্য বেড়ে দাঁড়াল আটজনে। নতুন সদস্যকে নিয়ে আরও দুইদিন তদন্ত কার্যক্রম চালানোর পর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক।

গত ৪ মার্চ গত শনিবার সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কারখানার সাত শ্রমিক মারা যান। আহত হন আরও ২৪ জন।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর