chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বিএনপির তো অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির তো অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই। তারা যদি সঠিকভাবে গণতন্ত্রচর্চা করতো তাহলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে আরও এগিয়ে যেতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ‘ফ্রিডম হাউজ’ প্রকাশিত বিশ্ব গণতন্ত্রচর্চা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির অব্যাহত চেঁচামেচি যে, দেশে গণতন্ত্র নেই, কথা বলার অধিকার নেই। এসবের মধ্যেও ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা যখন প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে, বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এবার একধাপ এগিয়েছে, তার মানে বাংলাদেশে গণতন্ত্রচর্চা অব্যাহত আছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল-বিকেল-সন্ধ্যা কথা বলেন। সরকারের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অহেতুক সমালোচনা করেন। তারা বলেন, ‘আমাদের কথা বলার অধিকার নেই। এটি যে মিথ্যা, তা ফ্রিডম হাউজের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্রচর্চা অব্যাহতভাবে সুসঙ্গত রয়েছে। এটি আরও হতো, যদি বিএনপি সঠিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা করতো।

বিএনপি মহাসচিবের ‘সরকারের রশি ধরে টান দেওয়ার সময় এসেছে’ এমন বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা তো রশি ধরে টান দিয়েছিলেন ১০ ডিসেম্বর। সরকারকে রশি ধরে টান দিতে গিয়ে সেই রশি ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে তাদেরই কোমরটা ভেঙে গেছে। এখন আবার টান দিতে গেলে তাদের কোমর আরও ভেঙে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘এটা মনে রাখতে হবে, সরকারের ভিত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত। এ রশি টানাটানি ১৪ বছর ধরে তারা করেছে, এতে তাদের কোনো লাভ হয়নি। বরং নিজেরাই বারবার রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে।’

ড. হাছান বলেন, বিএনপির তো অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই। তাদের সর্বশেষ সম্মেলন কখন হয়েছে, সেটা তারা নিজেরাও বলতে পারেন না। এক কলমের খোঁচায় বিএনপিতে নেতা হয়, আবার কলমের খোঁচায় বাদ যায়। তারা যদি গণতন্ত্র চর্চা করতেন, দেশে সার্বিকভাবে গণতন্ত্রচর্চায় আরও সহায়ক ভূমিকা রাখতেন, তাহলে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও অনেক ধাপ এগিয়ে থাকতো।

এদিন মতবিনিময় শেষে নদী নিরাপত্তার সংগঠন নোঙর ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট সুমন শামস পরিবেশবিদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাতে ‘নদী সংস্কৃতি ও শিল্প-সাহিত্য মুখপত্র নোঙর’-এর ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত নদী সংখ্যার একটি কপি তুলে দেন। ড. হাছান মাহমুদ পরিবেশ ও নদী-প্রকৃতি রক্ষায় নোঙরের দুই দশকের ভূমিকার প্রশংসা ও অগ্রযাত্রা কামনা করেন।

২০০৪ সালের ২৩ মে গভীর রাতে মেঘনা নদীর চাঁদপুরের বাঁকে এমভি লাইটিং সান লঞ্চটি ডুবে সুমন শামসের মা সহ প্রায় ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে নদী নিরাপত্তা ও পরিবেশরক্ষার শপথে কাজ করছে নোঙর।

সাআ / চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর