মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে কেলানতান প্রদেশে ভূমিধসে কর্মরত অবস্থায় নিহত তিন নির্মাণশ্রমিক বাংলাদেশ দূতাবাসের হস্তক্ষেপে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন– শরীয়তপুরের জাহেদুল খান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন ও পাবনার মনিরুল ইসলাম।
দূতাবাস জানায়, তাদের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তারা কাম্পুং মাকা নামক পাহাড়ি এলাকায় সড়ক নির্মাণে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২ নভেম্বর স্থানীয় সময় ১২টার দিকে ভূমিধসে মাটিচাপা পড়ে মৃত্যুবরণ করেন।
পরে ৩ নভেম্বর হাইকমিশনারের নির্দেশনায় কাউন্সেলর (শ্রম) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল ও মরদেহ সংরক্ষিত হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
বিস্তারিত তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মৃত জাহেদুল খান ও মৃত মো. সাজ্জাদ হোসাইন ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় যান এবং মৃত মনিরুল ইসলাম পিএইচএন ইন্ডাস্ট্রি নামক কোম্পানিতে ২০২৩ সালে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় এলেও এপ্রিল মাসে তিনি ওই কোম্পানিকে না জানিয়ে অন্যত্র চলে যান।
তাদের নিয়োগকারী কোম্পানির মালিকের সঙ্গে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক যোগাযোগের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিরা অনিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়।
আদায় করা ক্ষতিপূরণের অর্থ গত ৯ নভেম্বর কোম্পানির পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তিদের পিতা/মাতা/স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। তাছাড়া ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
হাইকমিশন মরদেহ প্রেরণকারী কাসকেট কোম্পানি ও অন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্রুত সময়ে মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য সচেষ্ট রয়েছে। মৃত্যুর কারণ সংক্রান্ত ডাক্তারি সনদ, মৃত্যুসনদ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়াসহ অন্য আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আগামী সপ্তাহের মধ্যে মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা করছে হাইকমিশন।
তাসু/চখ