chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে ৬ হাসপাতাল/ল্যাব পরিদর্শণ-৪টি বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ ও নবায়নবিহীন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া ৭২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক ল্যাব পরিদর্শণ শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

আজ শনিবার (২৮ মে) প্রথম দিনেই সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত মো ৬টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শণ শেষে বেসরকারি দুটি হাসপাতাল ও দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, হাসপাতালের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়া, পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকা, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সেবার মূল্য তালিকা না থাকার অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী।

যে দুটি হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে একটি হলো নগরীর চট্টশ্বেরী রোডের চট্টগ্রাম কসমোপলিটন হাসাপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড ও অন্যটি পাঁচলাইশের এস.টি.এস হাসপাতাল।

দুটি প্রতিষ্ঠানে হাসপাতাল পরিচালনা সংশ্লিষ্ট কোন বৈধ কাগজপত্র ছিলো না। এমনকি লাইসেন্সও দেখাতে না পারায় এ দুই প্রতিষ্ঠানকে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং হাসপাতাল দুটিতে চিকিৎসারত রোগীদের অন্যত্র চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন সিভিল সার্জন।

একই দিন ডবলমুরিং থানার ডিউটি রোডের পপুলার মেডিকেল সেন্টার ক্লিনিক্যাল ল্যাব পরিদর্শণের সময় দেখা যায়, ল্যাবটিতে মানসম্মত এক্সরে রুম ও প্যাথলিজ রুম নেই। যেটি রয়েছে তাতে দেওয়ালের ঘনত্ব ৫ ইঞ্চি এবং ছাদে লিড শিট লাগানো ছিলো না।

তাছাড়া ব্লাড কালেকশানের জন্য কোনো পাস করা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকা এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স, ভ্যাট ট্যাক্সের কাগজপত্র কিছু না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

একই দিন নগরীর দামপাড়ার নিরুপনী প্যাথলজী ল্যাবরেটরিতে গিয়ে দেখা যায়, রিসেপশনের সামনে রোগী বসিয়ে ব্লাড কালেকশন করা হচ্ছে।

তাছাড়া অনলাইনে আবেদন না পাওয়া, পরিবেশগত ছাড়পত্র, ভ্যাট, টিন সার্টিফিকেট না থাকাসহ অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতার জন্য এ প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

একই দিন ভিজিট করা হয় ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল ও পলি হসপিটালেও। হাসপাতাল দুটির সকল কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলেও সেবার মূল্য প্রদর্শিত না থাকায় আজ থেকে তাদেরকে মূল্য প্রদর্শন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী। তিনি বলেন, অভিযানে ৪টি প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম পাওয়া গেলে সেগুলো তাৎক্ষনিক বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর