chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বিদেশে প্রশিক্ষণে গিয়ে লাপাত্তা দুই পুলিশ

ডেস্ক নিউজঃ জর্ডানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে দেশে ফেরত আসেনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই সদস্য। এখন পর্যন্ত তাদের কোন হদিস পাওয়া যায় নি। ধারনা করা হচ্ছে পুলিশের চাকুরী ছেড়ে নেদারল্যান্ডে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেই তারা আত্মগোপনে চলে যান। 

গত ৯ মে (সোমবার) রাতে ৮ সদস্যের একটি দল পুলিশের ডগ স্কোয়াড পরিচালনার কৌশল শিখতে তারা নেদারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করেন। প্রশিক্ষণ টিমের নেতৃত্বে ছিলেন বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার বেলায়েত হোসেন।

ফিরে না আসা দুই পুলিশ সদস্যরা হলেন- কনস্টেবল শাহ আলম (২৩) ও কনস্টেবল রাসেল চন্দ্র দে (২৫)। এর মধ্যে শাহ আলম ২০১৮ সালে পুলিশে যোগদান করেন। তিনি মনসুরাবাদ পিওএম শাখায় কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে। অন্যদিকে রাসেল ২০১৬ সালে পুলিশে যোগদান করেন। তিনি দামপাড়া পুলিশ লাইনে এসএফ শাখায় কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার জেলায়।

বিদেশে প্রশিক্ষণে গিয়ে লাপাত্তা দুই পুলিশ

দেশে ফেরত আসার আগের দিন বিকেলে কনস্টেবল শাহ আলম ও রাসেল নির্ধারিত হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে তারা অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে (লিভ) যান। এবং সাথে থাকা অন্যান্য সহকর্মীদের ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড করে দেন।

জানা যায়, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে আরও আধুনিকায়ন করতে ডোগ স্কোয়াড চালু করা হয়। ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড ইউনিট রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশেও ডগ স্কোয়াড চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। যার নামকরন করা হয় ডগ স্কোয়াড (কে-৯) ইউনিট। এই ইউনিটের কার্যক্রম সর্ম্পকে প্রশিক্ষণ নিতে ৮ সদস্যের ওই দলটিকে নেদারল্যান্ডে পাঠায়। প্রশিক্ষনের জন্য দল বাছাইয়ের কাজে নিযুক্ত ছিলো সিএমপি হেড কোয়াটার। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডমিন) সানা শামিনুর রহমান আগে একবার নেদারল্যান্ড সফর করেন। তিনিও দল বাছাইয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা দলটির সাথে শেয়ার করেন। এই ইউনিটে ভিন্ন প্রজাতির ২০টি প্রশিক্ষিত কুকুর যোগ করা হবে। যার মধ্যে ৮টি জার্মান শেফার্ড ও ১২টি ল্যাব্রাডর। প্রশিক্ষণ নিয়ে বাকি ছয় সদস্য গত ২৪ মে দেশে ফেরত আসেন।

 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) আমির জাফর চট্টলার খবরকে বলেন, অমরা তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। পরিবার বলেছে তাদের সাথেও দুই পুলিশ সদস্য কোন প্রকার যোগাযোগ করে নি। তবে পরিবারের কথা আমাদের বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় নি। এখানে ভিন্ন কিছু থাকতে পারে। বিষয়টি আমরা নেদারল্যান্ড দূতাবাসে জানিয়েছি। পুলিশ সদর দফতরও চেষ্টা করছে তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে। তাদের কাছে সরকারি পাসপোর্ট রয়েছে। এই পাসপোর্টে খুব বেশি দিন তারা সেখানে অবস্থান করতে পারবে না। ৬ জুন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।

 

এমএইচকে/চখ

এই বিভাগের আরও খবর