chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বৃষ্টি হলেই বাড়বে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ

বৃষ্টি হলেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে নগরে । ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনের খুব একটা তোড়জোড় নেই। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এখনও ডেঙ্গু চোখ না রাঙালেও ধারণা করা হচ্ছে বৃষ্টি হলেই বাড়বে রোগটি।নাগরিকদের মধ্যে যেমন নেই সচেতনতা।

গেলবছর অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ১৪ হাজার ৮২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। মারা যান ১০৭ জন, যার বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। ডেঙ্গু মৌসুম না হয়েও চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১৩৩ জন, মারা গেছেন ৩ জন।

নগরীর ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড ২৬নং উত্তর হালিশহর এই দুই ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি মশা। মশক নিধনের চিত্র প্রায় একই। অধিকাংশ সময়ই ছিটানো হয় না মশার ওষুধ। আবার মাঝেমধ্যে দিলেও মশার প্রকোপ কমে না।

বাসিন্দারা বলেন, ‘মশার ওষুধ কোনো কোনো জায়গায় দেয়, আবার কোথাও দেয় না। এই এলাকায় মশার এতো উৎপাত যে ২৪ ঘণ্টা দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হয়। বাচ্চারাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।’

এসব এলাকার নাগরিকরা কতটা সচেতন? যদিও তারা বলছেন নিজের আঙিনা পরিষ্কার রাখেন। কিন্তু ওয়ার্ড দুটোর মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া মান্ডা খালেই দেখা গেল বিপুল পরিমাণে ময়লা ফেলছেন বাসিন্দারা। বাসায় রাখা টবেও পানি জমার ঝুঁকি রয়েছে। গত বছর এই ওয়ার্ড দুটিতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড নূর মোস্তফা টিনু কাউন্সিলর বলছেন, প্রতিদিন জন সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কর্মচারী লার্ভি সাইডিং ও ফগার মেশিনের মাধ্যমে স্প্রে করেন। তার দাবি, আগের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আছে ।

২৬ নম্বর হালিশহর কাউন্সিলর মোঃ ইলিয়াছ বলেন, ‘আমাদের মশক কর্মীদের এলাকা ভাগ করে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের সেভাবে কাজ শুরু হয়েছে।’

চসিকের প্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী বলেন, ‘মশার যে প্রজনন ক্ষেত্রগুলো জমে থাকা পানি হওয়ার কারণে বিভিন্ন নির্মাণ কাজের জায়গায় মশা জমেছে। তবুও আমরা লার্ভা মারার জন্য যে ওষুধগুলো ব্যবহার করি এগুলো দেওয়ার ফলে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশা নিধনে স্থানীয় সরকার, জনপ্রতিনিধি ও নগরবাসীকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। খোলা জায়গায় সরকারি সংস্থা ব্যবস্থা নিলে, বাসা বাড়িতে ব্যবস্থা নিতে হবে নগরবাসীকেই।

চখ/জুইম’

এই বিভাগের আরও খবর