করোনা টিকা আর জরুরি নয়: রুশ সংস্থা
প্রায় দুই বছর ধরে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া করোনাভাইরাসের এখন আর আগের মতো মারণক্ষমতা নেই। এই ভাইরাসটির ফলে সৃষ্ট শ্বাসতন্ত্রের রোগ কোভিডও এখন নেমে এসেছে মৌসুমি রোগের পর্যায়ে।
তাই এখন এই রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য টিকা আর জরুরি নয়। তবে কোনো এলাকায় রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ওই এলাকার বাসিন্দাদের অবশ্যই সতর্ক থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ভোক্তা অধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ রোসপোতরেবনাদজরের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রধান ডা. আনা পোপোভা এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন। রাশিয়ার বেতার সংবাদমাধ্যম রোশিয়া ২৪-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেপোভা বলেন, ‘মহামারির শুরুর দিকে করোনাভাইরাসের যে প্রাণঘাতী ক্ষমতা ছিল, এখন আর তা নেই। গত ৩-৪ বছরে মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে অজস্র কোটি বার সংক্রমিত হতে হতে সেই ক্ষমতা প্রায় হারিয়েছে ভাইরাসটির।’
‘এক সময়ের প্রাণঘাতী করোনা এখন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা শীতকালীন সর্দিজ্বর পর্যায়ের রোগে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। গত বছর আমরা দেখেছি যে শীতের সময় এই রোগটির প্রাদুর্ভাব ঘটে, আবার শীত কমে গেলে সেই প্রাদুর্ভাব অনেকাংশে কেটেও যায়।’
‘তাছাড়া আগে যেমন হতো…করোনায় আক্রান্ত হলেই মানুষজন ভয় পেতেন এবং হাসপাতালে ছুটে আসতেন— এখন সেই হারও অনেক কমে গেছে। বাজারে এখন করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ মিলছে; তাই এখন করোনায় আক্রান্ত হলে লোকজন বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
‘এসব কারণে আমরা মনে করি, করোনা এখন একটি মৌসুমি রোগ এবং এটি থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে টিকার আর প্রয়োজন নেই। তবে এখনও এটি শক্তিশালী, বিশেষ করে বয়স্ক মানুষজন কিংবা যাদের উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস প্রভৃতি শারীরিক জটিলতা রয়েছে— তাদের জন্য।’
‘কিন্তু সেক্ষেত্রে রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সতর্কতা, স্বাস্থ্যবিধি এবং মুখে খাওয়ার ওষুধই সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য যথেষ্ট।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস, যা বিশ্বে সাধারণভাবে পরিচিতি পায় করোনাভাইরাস নামে। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছে চীনে।
মআ/চখ