চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ, দুর্ভোগ, হাহাকার
চট্টগ্রাম জুড়ে গ্যাস সরবরাহে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাস সরবরাহ আকস্মিকভাবে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সারাদিন নগর জুড়ে রান্না করা খাবারের জন্য হাহাকার চলছে। গ্যাস নির্ভর দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে গৃহস্থালির পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, সার কারখানা, শিল্প কারখানা, সিএনজি স্টেশন, হোটেল-রেস্টুরেন্টেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের মহেশখালিতে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ২টা থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে। এর ফলে একইসময়ে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
কেজিডিসিএল’র বিপণণ বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক (দক্ষিণ) প্রকৌশলী অনুপম দত্ত বলেন, ‘এলএনজি টার্মিনালে টেকনিক্যাল ফল্টের কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে। মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, দ্রুততার সঙ্গে এ সংকটের সমাধান হবে।’
আকস্মিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গৃহস্থালি খাতের গ্রাহকেরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
নগরীর চকবাজার এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী বিউটি আক্তার বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ ঘন্টাও চুলায় গ্যাস থাকে না। এখন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। রাতেও ছিল না। হোটেল থেকে এনে ভাত খেতে হয়েছে। দুপুরে শুকনো খাবার খেতে হয়েছে।
পতেঙ্গার বাসিন্দা শেলী আকতার বলেন, এত ভোগান্তিতে আর কখনোই পড়িনি। এখন শুনছি, পুরো চট্টগ্রামে গ্যাসের সাপ্লাই নেই। আমাদের দুর্ভোগ নিয়ে কারও মাথাব্যাথা নেই।’
কেজিডিসিএল সূত্র জানায়, ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে পাওয়া প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস নিয়মিত গ্রাহকদের সরবরাহ করে থাকে কেজিডিসিএল। এর মধ্যে একটি টার্মিনাল জরুরি সংস্কার কাজের জন্য গত অক্টোবরে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এজন্য গত তিনমাসেরও বেশিসময় ধরে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ১৭ জানুয়ারি সেটি ফেরত এসেছে। সেটি পুন:স্থাপন করতে গিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটি সৃষ্টি হওয়ায় সরবরাহে বিপর্যয় তৈরি হয়েছে।
ফখ|তাসু|চখ