chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ডেঙ্গুর চিকিৎসায় স্যালাইন সংকট ভোগান্তিতে রোগীরা

সরকারি হাসপাতালে রোগীদের জন্য বিনামূল্যে ডেঙ্গুর ডিএনএস স্যালাইন সরবরাহ করা হলেও। বেসরকারি হাসপাতালে বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে হয় ডিএনএস (ডেক্সট্রোজ নরমাল স্যালাইন) স্যালাইন।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে রোগী সেজে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে ছদ্দোবেশে জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী। ওষুধের দোকানে খোজ করলেও ডেঙ্গুর ডিএনএস স্যালাইন পাওয়া যায়নি।

কিছুক্ষণ পর হঠাৎ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। দোকানেই পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন আছে বলে শিকার করেন ঔষধের দোকানিরা।

এ সময় চারটি ফার্মেসি থেকে আনুমানিক প্রায় ২ লাখ টাকার অনিবন্ধিত ঔষধ জব্দ করা হয়। এ সময় সাহান মেডিকোকে ২০ হাজার, সবুজ ফার্মেসিকে ১০ হাজার, ইমন মেডিক্যাল হলকে ২০ হাজার এবং পপুলার মেডিসিন কর্নারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ভাণ্ডারী হোটেল এবং আল মঞ্জুর হোটেলকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরির দায়ে ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে ডাক্তারের পরামশে নিতে হয় ডিএনএস স্যালাইন । স্যালাইনের চাহিদা চাহিদাকে পুঁজি করে একদিকে কৃত্রিম সংকট করে দাম বাড়িয়েছে ফার্মেসি ব্যবসায়িরা। অভিযানে চারটি ফার্মেসিকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এসএম সুলতানুল আরেফীন বলেন,চট্টগ্রামে হাসপাতাল গুলোতে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে। বাজারে আসলেই ডিএনএস স্যালাইনের সংকটের সুযোগ নিয়ে কিছু ফার্মেসি বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করছে।

চট্টগ্রামে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা । নতুন করে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১০৪ জন।। এবছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ৬৯৭ জন। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মোট ৫৩ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চলতি আগস্ট মাসে সর্বোচ্চ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সবার আগে সচেতনতা প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হওয়া জরুরি। যেকোনো সময় ঘুমাতে গেলে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। কোনো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

জুইম/চখ

এই বিভাগের আরও খবর