chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বিরল প্রজাতির ৪টি ধনেশসহ দুই পাচারকারী আটক

৬ মাসের কারাদণ্ড

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পাচারকালে চারটি বিরল প্রজাতির রাজ ধনেশসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব বিরল পাখি উদ্ধারসহ পাচারকারীদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটককদের ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং উদ্ধার হওয়া পাখিগুলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অবমুক্ত করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত পাচারকারীরা হলেন- কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার ফাশিয়াখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দীঘার পানখালি এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. সেলিম (৫২) ও বাগেরহাট জেলার সরনখোলা থানার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব মোস্তাকাটা ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ফজলুল হকের ছেলে মো. মিজানুর রহমান (৪২)।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, তাদের কাছে গোপন সোর্সের মাধ্যমে খবর আসে, কয়েকজন পাচারকারী বান্দরবান জেলার আলী কদম থানা এলাকা হতে বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাচারের চেষ্টা করছে।

এ খবরে পাচারকারীর চক্রের সদস্যদের ধরতে বিশেষ অভিযানে নামে টিম বাঁশখালী। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার সময় বাঁশখালী প্রধান সড়কের গুনাগরি বাজার এলাকায় সন্দেহভাজন একটি সিএনজির থরোধ করে চারটি বিরল প্রজাতির রাজ ধনেশ পাখিসহ সিএনজি চালককে আটক করা হয়।

আটক সিএনজি চালক মো. সেলিম পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে আনোয়ারা থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে পাচারকারী চক্রের আরেক সদস্য মো. মিজানুর রহমানকেও আটক করতে সক্ষম হয় টিম বাঁশখালী।

পরে আজ শুক্রবার সকালে তাদেরকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহামুদুল হাসানের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

একইসঙ্গে উদ্ধার হওয়া ধনেশ পাখি গুলোকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অবমুক্ত করার নির্দেশ দেন। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. কামরুল হাসান ও জলদী অভয়ারন্য রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা এবং বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুজ্জামান শেখ উপস্থিত ছিলেন।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর