chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

গণপরিবহনের বর্ধিত দ্বিগুন ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি ক্যাবের

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাকালীন সময়ে সাধারণ জনগনের জীবন ও জীবিকায় মারাত্মক নেতিবাচক ভোগান্তি ও যন্ত্রণা লাগবে গণপরিবহন বিশেষ করে বর্ধিত দ্বিগুন বাস ভাড়া প্রত্যাহার করে করোনার পূর্বের অবস্থানে আনার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএর প্রতি আহবান জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

মঙ্গলবার (২৮ জলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানিয়েছেন ক্যাব।

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সিট ক্যাপাসিটির অধিক যাত্রী পরিবহনের মতো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি পূনরায় ফিরে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান উপরোক্ত দাবি জানান।

তারা জানিয়েছেন, করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চালাতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর অঙ্গীকার করেন। সরকার বাস মালিক ও শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে ভাড়া দ্বিগুন করে গণপরিবহন চালানোর অনুমতি দেন। কিন্তু বাস-মালিক ও শ্রমিকরা সে অঙ্গীকার প্রথম দিন থেকেই কোনভাবেই রক্ষা করেনি। যাত্রী পরিবহনে গাদাগাদি করে আগের মতো সিট ক্যপাসিটির দ্বিগুন যাত্রী বহন করছে। মাঝে মধ্যে বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত কিছু অভিযান পরিচালনা করেন। তবে গণপরিবহনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন বাধ্য করা সম্ভব হয়নি।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, বাস মালিক-শ্রমিকরা কোন সময় সরকারের নির্ধারিত হারে ভাড়া আদায় করে না। যাত্রীদের জিম্মি করে দ্বিগুন-তিনগুন ভাড়া আদায় করে থাকেন। সেখানে আইন শৃংখলা বাহিনী ও বিআরটিএ তাদের বিরুদ্ধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনেআজ পর্যন্ত সক্ষম হয় নি। ঈদ-পুজা-পার্বনে এ দৃশ্য আরও প্রকট হয়। দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকায় আয় রোজগার ও কর্মহীন মানুষ এমনিতেই আর্থিক ও মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত, সেখানে বর্ধিত হারে দ্বিগুন বাস ভাড়া আদায় সড়কে ডাকাতির সামিল। যা অনতিবিলম্বে বন্ধ করা দরকার।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গণমাধ্যম সুত্রে জানা যায় রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে প্রতিটি সড়ক রুটে চলাচলকারী বাস-মিনিবাস দৈনিক গড়ে ১২০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিয়ে থাকেন। করোনা মহামহারী কালেও এই চাঁদা আদায় বন্ধ হয়নি। সরকার প্রয়োজনে গণপরিবহনগুলির জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানী সরবরাহ করতে পারেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে কোন সংকট ও অজুহাতে গণপরিবহনগুলি বর্ধিত ভাড়া আদায় করলেও স্বাভাবিক সময়ে এই ভাড়া কমানোর কোন দৃষ্ঠান্ত নেই। দেশের ইতিহাসে র্দীঘ ছুটিতে থাকায় কর্মহীন মানুষ ভয়াবহ আর্থিক সংকটে আছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে গণপরিবহনগুলো বিদ্যমান ভাড়া আদায় করে গণপরিবহন সেবা চালু করে মালিক-শ্রমিকদের আয় ও কর্মসংস্থান স্বাভাবিক করা যেতে পারে।

এসএএস/

এই বিভাগের আরও খবর