ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ ও মেধা মননে খেলাধূলার কোনো বিকল্প নেই। আজকের খেলোয়ারেরাই একদিন আন্তর্তিক ক্রীড়াবিদ হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় সমাজের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের সার্বিক কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে সরকার বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, বেদে ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী হিজড়া ভাতাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রেখেছেন।
রবিবার (২৯ মে) সকাল ১০ টায় নগরীর এম. এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাজসেবার বিভাগীয় আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক নুসরাত সুলতানা(উপ-সচিব) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ মাহমুদ উল্লাহ মারূফ।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতির পিতা ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন। তিনি খেলাধুলা খুব পছন্দ করতেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতেও তিনি খেলার কথা উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি নির্মল আনন্দ বয়ে আনবে ও পারস্পরিক সহমর্মিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা ওমাস্তাকুর রহিম খান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ওয়াহিদুল আলম(চট্টগ্রাম), ফরিদুল আলম (কক্সবাজার), মিল্টন মুহুরী (বান্দরবান), মো. ওমর ফারুক (রাঙ্গামাটি), মো. মনিরুল ইসলাম(খাগড়াছড়ি), মো. নজরুল ইসলাম পাটোয়ারি(নোয়াখালী),সাইফুল ইসলাম চৌধুরী(ফেনী),নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী(লক্ষ্মীপুর), জেড.এম মিজানুর রহমান(কুমিল্লা),আবদুল কাইয়ুম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), রজত শুভ্র সরকার(চাঁদপুর) ও বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজ প্রমূখ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবার কার্যালয়ের অধীন ১১ জেলার ১৮টি প্রতিষ্ঠান, সরকারী শিশু পরিবার, পিএইচটি সেন্টার, সম্মিলিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও ছোটমনি নিবাসের ৬৩৩ জন নিবাসী আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন।
আরকে/নচ/চখ