ইরাকের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অটুট থাকবে
চট্টলার ডেস্ক:চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইরাকের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স আব্দুল সালাম সাদ্দাম মুহাইছেন। রোববার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রাম টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে ওই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতের সময় ইরাক-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং দু দেশের মধ্যেকার সম্পর্কে উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় মেয়র ইরাকের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে চসিক মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার দেন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
মেয়র বলেন, ইরাক বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ সম্পর্কের সূচনা করেছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৮ জুলাই ইরাক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। যুদ্ধবিধ্বস্থ বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ইরাকের সাথে বন্ধুত্বের গুরুত্বের বিষয়টি বঙ্গবন্ধু যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।
চসিক মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ইরাকের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। ইরাকের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করেছে। একই সঙ্গে বেশকিছু আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। ইরাক বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে এসকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।
এসময় ইরাকের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স আব্দুল সালাম সাদ্দাম মোহাইছেন বলেন, বাংলাদেশে আসার পর চট্টগ্রামে এটি আমার প্রথম সফর। এ শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ। অপার সম্ভাবনাময় বন্দর নগরী চট্টগ্রামে যে কোনো দেশ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে আব্দুল সালাম বলেন, ইরাক বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
এসময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম, কাউন্সিলর সালেহ আহমদ চৌধুরী, মো. নুরুল আমিন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।
আরকে/