chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মেয়েকে টিকা দিতে অজ্ঞান মা, এগিয়ে এলেন নাছির

চট্টলা ডেস্ক:চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) কার্যালয়ে মেয়েকে করোনা টিকে দিতে এসেছিলেন মা শিরিন আকতার। ওই সময় হঠাৎ করেই তিনি শারীরিক অসুস্থ বোধ থেকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

বিষয়টি দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ এগিয়ে এলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও  সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিজেকেএস কার্যালয়ে মেয়ে কামরুন্নাহার শাহেদাকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ দিতে এসেছিলেন শিরিন আকতার।

মেয়ের সঙ্গে তিনিও রোদের মধ্যে কোলে বাচ্চা নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে হঠাৎ তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তার কোলের বাচ্চাও ছিটকে দূরে পড়ে যায়। তাকে পড়ে দেখতে পেয়ে আশেপাশের মহিলারা তাকে এবং তার বাচ্চাকে ধরা-ধরি করে তুলে নেয়।

এমন সময় আ জ ম নাছির উদ্দীন এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ইস্পাহানী প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ-২০২২ উদ্বোধন শেষে গাড়িতে উঠছিলেন। পরিস্থিতি দেখে তিনি তৎক্ষণাৎ শিরিন আকতারকে সিজেকেএস’র কক্ষে নিয়ে যান। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়ে মুর্ছা যাওয়া শিরিন আকতারের জ্ঞান ফিরে এলে তিনি তার টিকা গ্রহণকারী মেয়ের পরিচয় সংগ্রহ করেন। তিনি রেডক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকদেরকে মেয়ে কামরুন্নাহারের নাম ধরে মাইকিং করতে নির্দেশ দেন। মাইকিংয়ের ঘোষণা শুনে কামররুন্নাহার সিজেকেএস’র দোতলা থেকে দৌঁড়ে নিচে নেমে মা ও তার ভাইকে কাছে নেন।

পরে নাছির মেয়ের কাছ থেকে তার বাবার ফোন নম্বর নিয়ে ঘটনার কথা জানান। তিনি অসুস্থ মাকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

এ বিষয়ে শিরিণ আকতার জানান, আমরা নগরীর ঈদগাহ রঙ্গীপাড়া এলাকায় থাকি। আমার মেয়ে স্থানীয় নাসরিন রহমান আইডিয়াল স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সিজেকেএস কার্যালয়ে তার করোনার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের কেন্দ্র ছিল। খুব ভোরে খালি পেটেই আমি মেয়েকে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টার সময় মেয়েটা টিকা নিতে দ্বিতীয় তলায় চলে গেলে আমি বাচ্চাকে নিয়ে নিচে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ করে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই। তারপর আমি আর কিছু জানি না। জ্ঞান ফিরে এলে দেখি আ জ ম নাছির উদ্দীন সাহেব আমার স্বামীর  সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। তিনি আমার জন্য একজন ভাইয়ের মত দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি উনার কাছে ঋণী হয়ে থাকলাম। আল্লাহতা’লা উনার মঙ্গল করুন।

 

আরকে/চখ

এই বিভাগের আরও খবর