chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য সঠিক নির্দেশনা: নাছির

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চে ১৯ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রতি অক্ষর, শব্দ ও বাক্যকে স্বাধীন বাঙালি জাতিসত্তার অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ। এই ভাষণটি ছিল স্বাধীনতার বীজ বপনের মন্ত্রণা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য একটি সঠিক নির্দেশনা। তাই এই ভাষণকে ইউনেস্কো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রামাণ্য দালিলিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাঙালি জাতিকে মহিমান্বিত করেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে নগরীর টিআইসি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। একইসাথে মাইকযোগে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্প্রচার করা হয়। সভার শুরুতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র ভৌগলিক স্বাধীনতা ও একটি জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীতের জন্য লড়াই সংগ্রামের ডাক দেননি। তাঁর মূল অভিপ্রায় ছিল- বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আন্তর্জাতিকভাবে মানুষের যে পাঁচটি মৌলিক অধিকার স্বীকৃত অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতির পরিপূর্ণ মুক্তি নিশ্চিত করা। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ৭১’র পরাজিত শক্তি দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক চক্রান্তের নীল নকশা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন পূরণ অসম্ভব হয় পড়ে এবং বাংলাদেশ পুনরায় পাকিস্তান ভাবদ্বারায় নিমজ্জিত হয়।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর বঙ্গবন্ধু তনয়া আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লড়াই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নে নিবেদিত হয়ে বাঙালির লুণ্ঠিত অধিকার ও আকাঙ্ক্ষা পুনরুদ্ধারে নিবেদিত হন এবং ধারাবাহিকভাবে চারবার ক্ষমতাসীন হয়ে তিনি মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যেই এই দেশকে স্মার্ট ও উন্নত দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন। এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদেরকে এক ও অভিন্নভাবে শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রায় অগ্রবর্তী বাহিনী হিসেবে সার্বক্ষণিক নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রেখে যেতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য নঈম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ কে এম বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, যুব ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের আনসারুল হক, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল হাশেম বাবুল, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর