chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সিএস খতিয়ান দেখে খাল পুনরুদ্ধার করা হবে: মেয়র

চট্টলার ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩৫টি খাল খনন ও সম্প্রসারণ কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু ২১টি খাল বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়। সিএস খতিয়ানে এগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও এখানে বহুতল ভবনসহ নানা ধরণের স্থাপনা রয়েছে। দখল করা এসব খাল চিহ্নিত করে এগুলো অবশ্যই পুনরুদ্ধার করা হবে। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলররা এই খালগুলো চিহ্নিত করবেন।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে চসিকের আন্দরকিল্লা পুরাতন ভবনে কে.বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ১১তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় সাধারণ সভায় অন্যানের মধ্যে প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলীসহ কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, বিভাগী প্রধান, শাখা প্রধান ও সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জলাবদ্ধতা নিরসনে মেয়র বলেন, বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের কাজে অধিকতর গতিশীলতা চাই। শুকনো মৌসুমে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। ছোট-বড় নালা নর্দমা ও খালগুলো থেকে আবর্জনা, মাটি ও পলিথিন সরিয়ে ফেলা হবে। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে খালগুলো যেখানে বাঁধ বা দেয়াল আছে সেগুলো সিডিএর সাথে সমন্বয় করে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সিডিএর মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে প্রাণঘাতী কোনো বিপর্যয় না ঘটে।

মশক নিধন কার্যক্রমের বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, মশক নিধনে আলাদা ফোর্স করা হবে। এদের আলাদা পোশাক হবে। মশক নিধনে ছিটানো ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই করা হবে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় নগরীকে ৬টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন অবহেলা ও অবজ্ঞা গ্রাহ্য হবে না। দায়িত্ব পালনে কেউ ব্যর্থ হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আলোকায়নের ক্ষেত্রে কোনো অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না। যে সকল সড়ক বাতি খারাপ বা অচল হয়েছে সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে সারিয়ে তুলতে হবে।

আরকে/এমকে/চখ

এই বিভাগের আরও খবর