chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

লঞ্চে আগুন : নিহত বেড়ে ৪১-গণকবরে দাফন ২৭

জাতীয় ডেস্ক : ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারজিয়া আক্তার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। মৃত বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়ায়।

এদিকে, ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনার পর হাবিব খান নামে একজনের মৃত্যু হয়, যা নিয়ে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে।

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জনের মৃত্যু তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।

তিনি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে আহত ৮১ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৬ জনের চিকিৎসা চলছে। ১৬ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রোগীদের সার্বিক পরিস্থিতি দেখার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আহতদের মধ্যে ২১ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ৪ জনকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এখন ১৫ জনের চিকিৎসা চলছে। দুই জনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর একজনের মৃত্যু হয়েছে।

লোকমান হোসেন বলেন, আহতদের মধ্যে ৩২ জনের চিকিৎসা চলছে বরিশালে। ৭ সদস্যের চিকিৎসক টিম পাঠানো হয়েছে। তারা সেখানে চিকিৎসা দিচ্ছেন। আমরা মনিটরিং করছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আহতদের সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসার খরচ বহন করা হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থাও হাসপাতালের পক্ষ থেকে করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪১ জনের মধ্যে ২৭ জনকে দাফন করা হয়েছে গণকবরে। জানা যায়, শুক্রবার রাতে ঝালকাঠি থেকে বরগুনা সদর হাসপাতালে এসে পৌছায় ৩৩টি মরদেহ। এর পর রাতেই একটি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যায় স্বজনরা।

শনিবার সকালে আরও তিনজনকে শনাক্ত করেন স্বজনরা। পরে ২৯ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজার পরে আরও ২ জনকে শনাক্ত করে স্বজনরা। বাকি ২৭ মরদেহ দাফনের জন্য নিয়ে আসা হয়।

এর পর আজ দুপুর ১টার দিকে বরগুনার পোটকাখালী গ্রামের খাকদোন নদীতীরবর্তী এলাকায় বেওয়ারিশ লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর