chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পাহাড়-সমতলের অপরূপ চুয়েটে এবার চালু হলো চা বাগান

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষণার অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে এবার সংযোজিত হয়েছে চা বাগান। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক ভবন ও স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন একটি পাহাড়ি ঢালু অংশে এই চা বাগান সৃজন করা হলো। প্রাথমিকভাবে প্রায় দুই একর জায়গাজুড়ে বাগানটি তৈরি করা হয়েছে। এতে রোপণ করা হচ্ছে ২০০০টি চারা গাছ। উক্ত চা চারাগুলো রাঙ্গুনিয়ার কোদালা টি গার্ডেন থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে। মূলত সৌন্দর্য বর্ধনের স্মারক হিসেবে এই চা বাগানটি চালু করা হয়েছে। গাছ পরিপুষ্ট হলে সৌখিন হিসেবে সীমিত পর্যায়ে ব্যবহার করা যাবে।

এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় চা বাগান সৃজন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এসময় স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার, যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক ও ছাত্রবৃত্তি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

চুয়েট চা বাগান সম্পর্কে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা। আমরা সারাবছর পরিবেশ সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি সৌন্দর্য বর্ধনের নানা কাজ করে থাকি। অবকাঠামোগত উন্নয়নেও গ্রিন টেকনোলজি ব্যবহারসহ নানা পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ চলমান থাকে। এরই অংশ হিসেবে একটি চা বাগান সৃজন করা হচ্ছে। এতে চুয়েট পরিবার এবং এখানে আগতরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। আমি এই কাজে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে কারিগরি পরামর্শ, সহযোগিতা এবং চা চারা অনুদান হিসেবে দেওয়ার জন্য রাঙ্গুনিয়ার কোদালা চা-বাগান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এই চা বাগানের রক্ষণাবেক্ষণে সকলকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এসএএস/নচ

এই বিভাগের আরও খবর