চট্টগ্রাম ডেস্ক : জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে নেয়া আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পত্তির ইজারা ফি কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি আজ মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ইজারা ফি হ্রাসে ভূমি মন্ত্রণালয়ে একটি উপ-আনুষ্ঠানিক পত্র প্রেরণ করেছেন।
পত্রে ইজারা গ্রহীতাগণ আবাসিক ও বাণিজ্যিক হিসেবে ভোগ দখলে থাকা সম্পত্তি সরকারি অনুমোদন ও নির্দেশ অনুসারে নিজ উদ্যোগে পৌরকর, ইউপি ট্যাক্স, সুয়্যারেজ, বিদ্যুত, গ্যাস বিলসহ যাবতীয় সংস্কার কাজ সম্পাদন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
তা সত্ত্বেও ১৯৯০ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক অফিস স্মারক মূলে অর্পিত সম্পত্তির বাদীর পাকাঘর ইজারা ফি বাবদে প্রতি বছর বর্গফুট প্রতি ২০ টাকা নির্ধারিত ছিল। যা ১৯৯৫ সালে আরেক অফিস স্মারক মূলে কমিয়ে ৮ টাকা করা হয়।
কিন্তু ২০১৯ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন-৪ অধি শাখার স্মারকের ৩ ডিসেম্বর অর্পিত আবাসিক পাকা বাড়ির ইজারা ফি প্রতি বছরে বর্গফুট প্রতি ৮ টাকার স্থলে ৪৮ টাকা ও বাণিজ্যিক সম্পত্তির ইজারা ফি ২০ টাকার স্থলে ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
যা পূর্বের তুলনায় ৬ গুণ বেশি এবং অর্পিত সম্পত্তির ইজারা গ্রহীতাদের জন্য তা পরিশোধ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার।
এছাড়া করোনা মহামারীর কারণে অনেক পেশাজীবী ও চাকুরিজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। তাই মানবিক কারণে অর্পিত সম্পত্তির অস্বাভাবিক বর্ধিত ইজারা ফি কমিয়ে যৌক্তিক হারে নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপরে ভূমি মন্ত্রী আন্তরিকভাবে সহযোগীতা করবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
চখ/আর এস