chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সুপার গ্লু আমদানিতে রাজস্ব ফাঁকি, ২ আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মামলা

সুপার গ্লু আমদানিতে প্রায় ২ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ায় মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম (৬০) ও শেখ ফারুক আহমেদ ওরফে শাহরিয়ার (৪৯) নামে ২ আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামি- মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম চাঁদপুর জেলার মতলব থানার আমুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন পাটোয়ারীর ছেলে ও ঢাকায় মেসার্স সততা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী এবং শেখ ফারুক আহমেদ ওরফে শাহরিয়ার গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার সুলতানশাহী গ্রামের শেখ নুরুল ইসলামের ছেলে ও চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি খাতুনগঞ্জের অনামিকা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৩ সালের এক অভিযোগ অনুসন্ধানে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে শুল্ক ফাঁকির সত্যতা পায় দুদক। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মেসার্স সততা ইন্টারন্যাশনাল এবং অনামিকা ট্রেডার্স ইউসিবিএল ব্যাংকের দুই শাখায় ঋণপত্র খুলে ১৭টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে আমদানি করা সুপার গ্লু চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে খালাস করে।

দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, পণ্যের এইচএস কোড অনুযায়ী আমদানিকৃত সুপার গ্লুর মূল্য সঠিক থাকায় কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্যের শুল্কায়ন করেছেন। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের মূল কাগজপত্র জালিয়াতি করে পণ্যের মূল্য কম দেখিয়ে মিথ্যা ডকুমেন্টস তৈরি করে শুল্কায়নের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে জমা দিয়ে শুল্কায়ন করে। এতে জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানি মূল্যের চেয়ে কম দেখিয়ে পণ্য খালাস নিয়ে তারা এক কোটি ৭২ লাখ ৯২ হাজার ৯২৪ টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন।

তাদের বিরুদ্ধে মামলায় সুপার গ্লু আমদানিতে জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্যের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে আমদানি মূল্য কম দেখিয়ে ১ কোটি ৭২ লাখ ৯২ হাজার ৯২৪ টাকার শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দণ্ডবিধির ১০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪০৯ ধারায় অভিযোগ করা হয়।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর