chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সবজি রপ্তানিতে ঘুরে দাড়াতে পারেনি চট্টগ্রাম

করোনার পর ১০০ মিলিয়ন ডলারের বাজার হারিয়েছে বাংলাদেশ

সবজি রপ্তানিতে ঘুরে দাড়াতে পারেনি চট্টগ্রামে ।চট্টগ্রামে শতাধিক রপ্তানিকারক সবজি রপ্তানি করেন ব্যবসায়ীরা। ৫০ টিরও বেশি পদের সবজি রপ্তানি হয় বাংলাদেশ থেকে। ইউরোপের কিছু দেশ, আমেরিকা, যুক্তরাজ্যেসহ বেশিরভাগের যায় মধ্যপ্রাচ্য।

করোনা ও কাস্টমস জটিলতার কারনে কয়েক দফায় পন্য রফতানিতে বন্ধ ছিলো গত ৪ বছরে বাংলাদেশে।এছাড়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে সবজি রপ্তানির এ প্রক্রিয়া শুরু হয় চারা রোপন থেকে সার, কীটনাশক দিতে হয়। জলোবায়ু পরিবতের সাথে প্রতিকুল আবহওয়া ‘অনেক সময় ভালো সবজি না হওয়াকে দুষছেন কৃষিবিদরা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৬৪ মিলিয়ন ডলারের সবজি রপ্তানি করে। পরের অর্থবছর তা কমে দাঁড়ায় ১১৮ মিলিয়ন ডলারে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে রপ্তানি হয় ৯৯ মিলিয়ন ডলারের সবজি। যা আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ কম। আর সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে সবজি রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ৩৬ মিলিয়ন ডলার কমে যায়, ৬১ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায় রপ্তানি আয়।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিবহন ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না বাংলাদেশ। রপ্তানিকারক অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের জায়গা দখল করছে। এ তালিকায় আছে ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভিয়েতনাম।

চট্টগ্রাম ভেজিটেবল এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব রানা বলেন, অপর্যাপ্ত ফ্লাইট, কেন্দ্রীয় প্যাকিং সেন্টার না থাকাসহ নানা সমস্যায় এ খাত জর্জরিত। এছাড়া দেশিয় বাজারে সবজির বাড়তি দামের কারণে সংগ্রহ করতেই খরচের বড় অংশ চলে যাচ্ছে।’ কাস্টমসের নানা হয়রানির অভিযোগও আছে ব্যবসায়ীদের।আমাদের সুযোগ-সুবিধা পরিবহনের ক্ষেত্রে অনেক কম।’ সাথে কাস্টমসের নানা হয়রানির অভিযোগও আছে ব্যবসায়ীদের।এছাড়া কাস্টমসের কিছু নিয়ম-নীতি গুলোকে আরও সহজীকরণ করতে হবে।’

বর্তমানে সবজি রপ্তানিতে ২০ শতাংশ হারে রপ্তানিকারকরা প্রণোদনা পান। উৎপাদন খরচ না কমলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৯০ লাখ প্রবাসী এই সবজির বড় ক্রেতা  ।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর