chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ব্রিকসে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পেল ৫ দেশ, বাদ আর্জেন্টিনা

ডলার সংকটে গত বছর কঠিনব্রাজিল, ভারত, চীন, রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত বৈশ্বিক জোট ব্রিকসে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পেয়েছে বিকাশমান অর্থনীতির পাঁচ দেশ। বছরের প্রথম দিন স্থানীয় সময় সোমবার (১ জানুয়ারি) এই জোটের বর্তমান চেয়ারম্যান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব পূর্ণ সদস্য হিসেবে জোটভুক্ত হয়েছে।

গত ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠানে এই জোটের শীর্ষ সম্মেলনে নতুন ছয় দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষণা দেয়া হয়। সেখানে বলা হয় নতুন বছরের (২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি) প্রথম দিনে দেশগুলো ব্রিকসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করবে। পুতিনের ঘোষণায় পূর্ণ সদস্য হিসেবে মর্যাদা পায়নি লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। খবর ডেকান হেরাল্ড।

আর্জেন্টিনায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জ্যাভিয়ার মিলি গত সপ্তাহে ঘোষণা দেন, লাতিন দেশটি ব্রিকস জোটে সদস্য হিসেবে যোগ দেবে না।

জোটের শীর্ষ সম্মেলনে গত ২৪ আগস্ট নতুন সদস্য দেশগুলোর নাম ঘোষণা করেন স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। সম্মেলনের আগে প্রায় ৪০টির মতো দেশ ব্রিকসে যোগ দেয়ার আবেদন জানিয়েছিল। জোহানেসবার্গে শুরু হওয়া তিন দিনের শীর্ষ সম্মেলনটির শেষ দিনে মূল সদস্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ছাড়া বাকি চার দেশের সরকারপ্রধানরা স্বশরীরে অংশ নেন।

বিশ্বের উদীয়মান ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট হচ্ছে ব্রিকস। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্যক্ষরে এর নামকরণ করা হয়। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা যোগ দেওয়ার আগে এটি ব্রিক নামে পরিচিত ছিল, যা ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে। এর সদর দপ্তর চীনের সাংহাইয়ে। সবশেষ, ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা।

বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাদের একচ্ছত্র আধিপত্যের পাল্টা জবাব দিতে রাশিয়া ও চীনের নেতৃত্বে ব্রিকস জোটের যাত্রা শুরু হয়। এই জোটের কয়েক নেতা এর আগে খোলাখুলিভাবে নতুন একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা এবং মার্কিন ডলারকে বাদ দিয়ে বিকল্প আর্থিক ও বাণিজ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার ডাক দেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ব্রিকস মুদ্রা নামে একটি মুদ্রা চালু করারও প্রস্তাব দেন। অন্যদিকে রাশিয়া ও চীনের চেষ্টা রয়েছে ব্রিকসকে পশ্চিমা জোটের বিপরীতে একটি আলাদা বিকল্প শক্তি হিসেবে দাঁড় করানো।

এর আগে, জোটে সদস্য বাড়ানো নিয়ে ব্রিকসের মূল সদস্যদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তবে পরে এ নিয়ে একমত হন জোটটির নেতারা। সবশেষ ব্রিকস সম্মেলনে এবার যোগ দেন বিশ্বের ৫০ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গঠিত এই জোটের লক্ষ্য— বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও সহযোগিতা। এ ছাড়া মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে চায় ব্রিকস।

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আগে ২২টি দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে আবেদন জানিয়েছিল। যোগদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল আরও ২০টি দেশ। আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানানো দেশের মধ্যে বাংলাদেশও ছিল। তবে বাংলাদেশ আপাতত এই জোটে সদস্য হিসেবে যোগ দিতে পারছে না।

এই বিভাগের আরও খবর