chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জেঁকে বসেছে শীত,ফুটপাতে বেড়েছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা

চট্টগ্রাম নগরে জেঁকে বসেছে শীত। বেলা বাড়ার সাথে সাথে   শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় । চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শীতের তীব্রতা এবং ঘন কুয়াশা থাকবে আরও বাড়বে ।

এদিকে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমে আসলেও শীতের তীব্রতা লক্ষ্য করা যায়।

চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি।ক্রেতার চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী বিভিন্ন দামে মিলছে শীতের নানা পোশাক।

ফুটপাতের বিক্রেতারা বলেন, কম দামে শীতের পোশাক কিনতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাই তাঁদের দোকানগুলোতে বেশি আসে। তাঁদের দোকানে সোয়েটার, জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি ও ব্লেজার বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রির শীর্ষে রয়েছে চাদর, মাফলার, কানটুপিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র।২৫০ টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত চলছে এসব পণ্যের বেচাকেনা।

হকার মার্কেট এলাকায় শীতের জ্যাকেট বিক্রি করেন মো. আলামিন। কয়েক দিন ধরে শীত বাড়ায় বেচাকেনাও বেড়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর দোকানে বিক্রি হচ্ছে ছোট-বড় সব ধরনের জ্যাকেট।

আলামিন বলেন, ‘কম দামে জিনিস কিনতে মানুষ ফুটপাতে আসে। তবে আমি ৫০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকার মালও বিক্রি করি।’

আলামিনের মতোই একটি অস্থায়ী দোকানে সোয়েটার ও কানটুপি বিক্রি করেন আবুল হাসান। কম দামে সোয়েটার কিনতে নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবাই ভিড় করে তাঁর দোকানে। তবে সোয়েটারের চেয়ে কানটুপি ও মাফলার বেশি বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।

তবে আগের তুলনায় শীতের পোশাকের দাম এবার তুলনামূলক বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তাদের অভিযোগ, সুযোগ বুঝে অতিরিক্ত দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। গুলিস্তান স্টেডিয়াম এলাকায় ছোট বাচ্চাদের ফুলহাতা গেঞ্জি দরদাম করছিলেন সাইফুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, ‘বাচ্চা পোলাপানের গেঞ্জি ৫০০ টাকা চাইতাছে। সামান্য বেতনে চাকরি করি, বড় মার্কেটে যাওয়ার সাধ্য নাই। ফুটপাতেও বড় মার্কেটের সমান দাম চাইতেছে।’

শীতের পোশাকের পাশাপাশি বেড়েছে কম্বল, লেপ, চাদরসহ অন্য পণ্যের বিক্রি। আগ্রাবাদ বাদামতলী সামনের কম্বল বিক্রেতা জয়নাল আবেদীন জানান, এক সপ্তাহ আগে থেকেই কম্বল বিক্রি বেড়েছে। ৪০০ থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এসব কম্বল। জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘১৫ দিন ধরে চলছে এসব পণ্যের বেচাকেনা। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে। বেশির ভাগ লোক কম্বলই কিনে নিয়ে যাচ্ছে।’

এই বিভাগের আরও খবর