chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কাল দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন করবেন রেলমন্ত্রী

আগামীকাল সোমবার (১৬ অক্টোবর) নির্মাণাধীন এ রেললাইন পরিদর্শন করবেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আগামী ১২ নভেম্বর বহুল প্রতীক্ষিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে দিয়ে রেল যোগাযোগে যুক্ত হবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ইতোমধ্যে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, ‘দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের কাজ চলমান। ইতোমধ্যে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো রেললাইন দৃশ্যমান হয়েছে। এখন ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত এ রেললাইন। কিছু স্টেশন নির্মাণের কাজ চলমান আছে। বর্তমানে প্রকল্পের অগ্রগতি ৯২ শতাংশ। আগামীকাল সোমবার রেলমন্ত্রী এ রেললাইন পরিদর্শন করবেন। এজন্য তার আজ রবিবার চট্টগ্রামে আসার কথা রয়েছে।’

এদিকে, রেলমন্ত্রীর সফরসূচিতে দেখা যায়, রবিবার বিকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসবেন রেলমন্ত্রী। সিআরবিস্থ রেলওয়ে রেস্ট হাউজে তিনি রাত্রিযাপন করবেন। এরপর সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় কালুরঘাট রেলসেতুর সংস্কার কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হবেন মন্ত্রী। এরপর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন ট্রলিযোগে সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। বিকেল ৪টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হয়ে সেটি পরিদর্শনের কথা রয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, ‘দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান। আগামী ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এর আগে কয়েকবার পরীক্ষামূলক ট্রেন চালিয়ে আমরা দেখব কোথাও কোনও ত্রুটি আছে কিনা। পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৯২ শতাংশ। স্টেশন ও সড়কের যে কাজ বাকি আছে সেগুলো কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।

শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর