চটগ্রামে স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যের বাজার
নিম্ন আয়ের মানুষ বলছে বাজারে সবচেয়ে কম দাম মানুষের
নিত্যপণ্যের বাজার ক্ষনে ক্ষনে পালটাছে । সেই সাথে অস্থির সবজির ,মাছ ,মসলার বাজার। নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের খাদ্য তালিকার একমাত্র ভরসা সবজিতেও যেন লাগাম টানা যাছে না। সব রকম নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজিও কেজি প্রতি ৫০-৭০ টাকা মূল্য। ভরা মৌসুমেও এমন চড়ার দামে । এতে আয় না বাড়লেও বাজার করতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। ফলে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষ।
শুক্রবার(৬ অক্টোবর) চটগ্রাম নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। যেখানে কোনো কোন সবজি ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিভিন্ন খুচরা বাজারে মানভেদে কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, কাকরল ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা, লালশাক ও কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিকেজি আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও অক্টোবর মাসের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিপ্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। ।
এই দিকে চীনা পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, দেশি রসুন বড় সাইজ ২৫০ টাকা, দেশি রসুন ছোট সাইজ ২৩০ টাকায় বিক্রি হছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ২১০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে। বড় ও মাঝারি তেলাপিয়া ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। এছাড়া স্থানভেদে শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৬৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা বেসরকারি স্কুলের পিয়ন সিরাজ জানান, সব কিছুর দাম তো শুধু বেড়েই চলে। আমাদের মতো সাধারণ জনগণের কথা কেউ ভাবে না। আমাদের আয় রোজগার তো বাড়ছে না। তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন বাজারে সবচেয়ে কম দাম আমাদের মত মানুষের।
দাম কেন বাড়ছে জানতে চাইলে পাহাড়তলী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা শফিক বলেন, আমাদের কিছুই করার নেই। আড়ৎ থেকে দাম বাড়ায়। আমরা যে দামে কিনি, অল্প কিছু লাভে বিক্রি করি।