জুমার দিন যে আমল করতেন রাসুল সা.
জুমাবার সপ্তাহের ঈদের দিন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৯৮) এ দিনকে শ্রেষ্ঠ দিন বলে অবহিত করেছেন তিনি।
সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনের আমল অনেক বেশি ও গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনের বিশেষ মর্যাদার কথা জানা যায় কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যায়।
জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল
১. জুমার দিন গোসল করা। যাদের ওপর গোসল ফরজ তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসুল সা. ওয়াজিব বলেছেন।
২. জুমার নামাজের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৩. মিসওয়াক করা।
৪. উত্তম পোশাক পরিধান করে সাধ্যমতো সাজসজ্জা করা।
৫. মুসল্লিদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা।
৬. মনোযোগ সহকারে খুত্বা শোনা এবং খুত্বা চলাকালীন চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব।
৭. আগে থেকেই মসজিদে যাওয়া।
৮. সম্ভব হলে হেঁটে মসজিদে যাওয়া। ৯. জুমার দিন ও জুমার রাতে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।
১০. নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস চেয়ে এ দিন বেশি বেশি দোয়া করা।
১১. কেউ খুৎবার সময় কথা বললে ‘চুপ করুন’ এতোটুকুও না বলা।
১২. মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন না খাওয়া ও ধূমপান না করা।
১৩. খুত্বার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা।
১৪. এতোটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনো কিছু না পড়া যাতে অন্যের ইবাদত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে।
আরো পড়ুন: এই ৩ আমল করলেই বিয়ে হবে সহজে
এ দিনের বিশেষ কিছু দোয়া
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এদিনে বিশেষ কিছু আমল রেখেছেন। এসব বিশেষ আমলের মাঝে রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে গুনাহ মাফের প্রতিশ্রুতি।
জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে হজরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত আছে। রাসুল সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন আসর নামাজের পর না উঠে ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার এই দরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে ।
এ দিনের বিশেষ আরও কিছু আমল
১. সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা। জুমার দিনে সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে।
২. বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি জিকির করা মুস্তাহাব।
আরো পড়ুন: সকালের যে ৫ আমলে সুরক্ষিত থাকবেন সারা দিন
৩. জুমার রাত (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ও জুমার দিনে নবী করিম (সা.) এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের কথা বলা হয়েছে। এমনিতেই যে কোনো সময়ে একবার দরুদ শরিফ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীকে দশটা রহমত দান করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য দশবার রহমতের দোয়া করেন।
৪. জুমার নামাজের পূর্বে দুই খুৎবার মাঝখানে হাত না উঠিয়ে মনে মনে দোয়া করা।
৫. সূর্য ডোবার কিছুক্ষণ আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত গুরুত্বের সাথে জিকির, তাসবিহ ও দোয়ায় লিপ্ত থাকা।