chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আলুর বাজারে অস্থিরতা, ঝোপ বুঝে কোপ ব্যবসায়ীদের

ঈদের ছুটিতে কোল্ড স্টোরেজ বন্ধ থাকায় আলুর বাজারে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তার সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। একই আলু আড়ৎ ভেদে ইচ্ছে মতো দাম রাখছেন তারা। আর এই অস্থিরতার সুযোগ বুঝে দাম হাঁকতে হাঁকতে খুচরা বাজারে আলুর দাম ঠেকেছে ৫০ টাকায়। দাম বৃদ্ধির যে যুক্তি ব্যবসায়ীরা দেখাচ্ছেন তাকে অযৌক্তিক দাবি ক্রেতাদের।

ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা ঝোপ বুঝে কোপ মারছেন। খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে তা দেদারে বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই ফলে দাম দ্রুতই কমে আসবে।

ঈদের ছুটিতে গেলো ২৮ তারিখ থেকে বন্ধ ছিল মুন্সিগঞ্জের কোল্ড স্টোরেজগুলো। শ্রমিক সঙ্কট, পরিবহনের বাড়তি খরচসহ সরবরাহ ঘাটতিতে তখন ২৮ টাকার আলুর দাম উঠেছিল ৩৫ টাকায়।

গেলো কয়েকদিনের সরকারি তৎপরতা আর কোল্ড স্টোরেজগুলো খোলার পর মুন্সিগঞ্জে আবারও আগের দামে ফিরেছে আলু। ঢাকার শ্যামবাজারে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। রাজশাহীর আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকায়।

শ্যামবাজারে আলুর দাম কমে এলেও অস্থির কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়ৎগুলো। এখানে মুন্সিগঞ্জের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৩ টাকায়, বগুড়ার আলু ৩৪ টাকা, আর রাজশাহীর আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায়। বাড়তি দামের পেছনে ব্যবসায়ীদের যুক্তি তাদের আলু বাছাই করা।

আবার কারওয়ান বাজারের সেই আলু পলাশী বাজারে ৪৫ টাকা। কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, ৩৮ টাকা দরে বাছাই করা আলু এনেছেন। ফলে ৪৫ টাকার নিচে বিক্রি করলে লোকশান হবে।

যদিও ব্যপারীরা বলছেন, ৪০ টাকার বেশি আলুর দাম হলে তা হবে অন্যায়। আর ক্রেতারা বলছেন, ‘বাছাই করা আলু’ এই যুক্তি দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অযৌক্তিক।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সারা বছর দেশে আলুর চাহিদা সর্বোচ্চ ৮৫ থেকে ৯০ লাখ টন। ২০২১-২২ সালে উৎপাদন হয়েছিল ১০ লাখ টন। চলতি বছর উৎপাদন সামান্য কম হলেও ঘাটতির কোনো শঙ্কা নেই।

এই বিভাগের আরও খবর