chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বাঁশখালীতে তিনশ টাকার কাঁচা মরিচ এখন ৮০ টাকা

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় প্রতি মৌসুমে  ৪০ থেকে ৫০ ভাগ সবজির যোগান দিয়ে থাকে এ উপজেলা। তারমধ্যে দেশি আলু, টমেটো, লাউ, কাকরোল, কাঁচা মরিচ অন্যতম। সম্প্রতি কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশে কাঁচা মরিচের মূল্য ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৮’শ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। দেশে কাঁচা মরিচের জোগান কম’। আর এর সঙ্গে বিভিন্ন জেলার অতি বৃষ্টিকে যুক্ত করে দেশের সাথে তাল মিলিয়ে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি করেছিল এ উপজেলার মরিচ চাষিরা।

এদিকে ঈদের ছুটি শেষে খুলেছে দেশের স্থলবন্দরগুলো। এতে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। এতে আমদানির প্রভাব পড়েছে বাঁশখালীর পাইকারী কাঁচা মরিচের বাজারেও। আমদানির খবর শুনতেই দাম কমাতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচ চাষিরা। এদিকে পচনশীল এসব কাঁচা মরিচ এখন পাইকারী দরে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। দাম কম হওয়ায় মানুষের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

এদিকে সপ্তাহ আগেও এখানকার পাইকারী সবজির বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। তবে কয়েক দিনের ব্যবধানে বাঁশখালীর পাইকারী বাজারে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। এরপর থেকে দাম কমেনি বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়, এমনকি ৮০০ টাকায় পৌঁছায়। চাষিরা অতি লাভের আশায় ছিড়ে ফেলছিল অপরিপক্ক কাঁচা মরিচ। মরিচ চুরি হওয়ায় ভয়ে নিয়োগ করেছিলেন পাহাদার। খুশিতে আত্মহারা হয়েছিলেন তারা। এদিকে ভারত থেকে মরিচ আমদানির খবর এবং মানুষ কাঁচা মরিচ ক্রয় না করায় তা মুহুর্তেই দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। তবে স্থানীয় খুচরা বাজারে কমেনি মরিচের দাম৷ এখনও বিক্রি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়।

বাঁশখালী নাপোড়ার সবজি ব্যবসায়ী সবুজ আলম বলেন, বাজারে ভারতীয় কাঁচা মরিচ এসেছে। এ জন্য হটাৎ দাম কমেছে। কেনা দর বেশি ছিল তারপরও আজ সকাল থেকে খুচরা ২০০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করতেছি। গতকালও কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এখন সারাদিন মিলে ২কেজি মরিচও বিক্রি হয় না। পাইকাররা তে এখন কেজি প্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কাঁচা মরিচ নিয়ে যাচ্ছে।’

উপজেলার চাম্বল বাজারের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীন বলেন, আমদানি করায় চট্টগ্রামের সবজির আড়ত গুলোতে অনেক কাঁচা মরিচ এসেছে। তাই পাইকাররা এখন আমাদের কাছ থেকে কাঁচা মরিচ নিচ্ছে না। আমি ৩৭০ টাকা কেজি দরে ১৭০ কেজি কাঁচা মরিচ কিনে রাখছিলাম। ভাবছিলাম ভালো লাভে এসব কাঁচা মরিচ বিক্রি করব। তবে ভারত থেকে আমদানির প্রভাবে এসব মরিচ বিক্রি করতে পারিনি। এখন খুচরা বাজারে বিক্রি করছি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম নিচ্ছি ৫০ টাকা।

উপজেলার শিলকূপের সবজির পাইকার ব্যবসায়ী সুরুজ মিয়া বলেন, এক সপ্তাহ ধরেই কাঁচামরিচের মূল্য বৃদ্ধি ছিল। তবে দেশে ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ায় গতকাল সকাল থেকে মরিচের দাম কমতেছে। এখন শহরের খুচরা বাজারে ইন্ডিয়ান কাঁচামরিচ ২৫০ থেকে ২২০ টাকা এবং দেশীয় কাঁচামরিচ ২৩০ থেকে ২৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে শহরে কাঁচা মরিচের চাহিদা না থাকায় আমরা স্থানীয় বাজার থেকে আর মরিচ ক্রয় করতেছি না। তবে দুই এক দিনের মধ্যে স্থানীয় কাঁচামরিচের দাম আরো কমবে বলে মনে হচ্ছে। বলতে গেলে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় নেমে আসবে।’

চখ/ জুুইম/রিদই

এই বিভাগের আরও খবর