chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জেনেশুনে নিষেধাজ্ঞার জাহাজে পণ্য পাঠিয়েছে রাশিয়া : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্য রাশিয়া জেনেশুনে নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজের নাম পরিবর্তন করে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, এটি আমরা আশা করিনি। আমাদের কাছে খুব তাজ্জব লেগেছে। আমরা আশা করবো রাশিয়া এখন নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত জাহাজে ওই মালামাল পাঠাবে। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি।

রোববার (২২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রূপপুরের মালামাল নিয়ে রাশিয়ার জাহাজের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়াকে বলেছি, তাদের যেসব জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে, সেগুলো ছাড়া অন্য যেকোনো জাহাজে পাঠাতে পারে। নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন জাহাজ আমরা গ্রহণ করতে চাই না।’

বিষয়টি যাচাই করে বাংলাদেশ নিশ্চিত হয়ে জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে দেয়। পরে জাহাজটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে গিয়ে সরঞ্জাম খালাসের চেষ্টা করে। কিন্তু সরঞ্জাম খালাসের জন্য জাহাজটি নয়াদিল্লির অনুমতি পেতে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায় জাহাজটি। বর্তমানে জাহাজটি চীনের একটি বন্দরের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হচ্ছে।

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খুব সতর্কতা অবলম্বন করেছি। আমরা চাইছি যেন এই সংঘাত বন্ধ হয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ চলছে।

মোমেন বলেন, মিয়ানমার সরকারের সক্ষমতা অনেক দুর্বল। সেটা নিয়ে একটি সমস্যা আছে। আর আমরা তো কোনো বিদ্রোহী দলের সঙ্গে আলাপ করি না। তবে আমরা আমাদের এলাকা প্রটেক্ট করছি। মিয়ানমার তাদেরটা দেখছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের নানা ঘটনা নিয়ে আমরা সবসময় চীনের সাহায্য চেয়ে থাকি। কেননা মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব আছে। আগে শুনতাম, পশ্চিমা অনেক কোম্পানি মিয়ানমারকে সাহায্য করে। এই যেমন অস্ত্রতেও। মিডিয়ার মাধ্যমে এখন তা আমরা জানতে পেরেছি। এতে আমরা খুব মর্মাহত।

 

সাআ / চখ

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর